বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নয়নশীলে উত্তরণের পরও সুইডেনে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:০৫

বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশ রুলস অব অরিজিনের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়সহ শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে (ডিসি) উন্নীত হবে। এরপর পাঁচ বছর এই সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি তুললেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীলে উত্তরণের পর সুইডেনের কাছে আরও পাঁচ বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার বার্গ ভন লিনডির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময়ে এই সুবিধা দাবি করেছে বাংলাদেশ।

সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে এই মতবিনিময় হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান এবং মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রফতানি) মো. আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশ রুলস অব অরিজিনের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়সহ শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে (ডিসি) উন্নীত হবে। এরপর পাঁচ বছর এই সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি তুললেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে টিপু মুনশি বলেন, সুইডেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস (বি টু বি) সফর বিনিময় এবং আলোচনার মাধ্যমে এ সুবিধা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করছে। সুইডেন আমাদের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ওষুধ, পাট ও পাটপণ্য, চিংড়ি ও হিমায়িত মাছ, সিরামিক পণ্য, আইসিটি পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প পণ্য এবং প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করতে পারে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেকোনো জটিলতা নিরসনে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন, কোরিয়া, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। এ অঞ্চল পণ্যের একটি বড় বাজার। সুইডেনের বিনিয়োগকারীরা ইকনোমিক জোনে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, এগ্রো প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিটিক্যাল, সিরামিক, এনার্জি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার বার্গ ভন লিনডি বলেন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে সুইডেন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিযোগ বাড়াতে আগ্রহী সুইডেন। এর সুযোগও রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা করা প্রয়োজন। এজন্য সুইডেনের ন্যাশনাল বোর্ড অফ ট্রেড আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৯ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য সুইডেনে রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ৭ কোটি ২৭ লাখ ৮ হাজার ডলার মুল্যের পণ্য। উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

এ বিভাগের আরো খবর