বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে নতুনদের উদাহরণ হতে চায় এনআরবিসিবি

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:০১

ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের ১০ টাকা দরে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি শেয়ারের দর হবে প্রায় ১৫-১৬ টাকা। ফলে পুঁজিবাজারেও আমরা সফল হব। চতুর্থ প্রজন্মের অন্যান্য ব্যাংকও চাইলে এভাবে পুঁজিবাজারে আসতে পারে।‘

পুঁজিবাজারে আংশিক শেয়ার নিয়ে এসেছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক (এনআরবিসিবি), যা অন্য ব্যাংকের জন্য উদাহরণ হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পারভেজ তমাল বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের ১০ টাকা দরে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি শেয়ারের দর হবে প্রায় ১৫-১৬ টাকা। ফলে পুঁজিবাজারেও আমরা সফল হব। চতুর্থ প্রজন্মের অন্যান্য ব্যাংকও চাইলে এভাবে পুঁজিবাজারে আসতে পারে।‘

দীর্ঘ একযুগ পর গত ১৮ নভেম্বর ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে এনআরবিসি ব্যাংক পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পায়।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে গঠিত এনআরবিসি ব্যাংক শেয়ারবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ পায়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে ১২ কোটি শেয়ার ছাড়বে ব্যাংকটি। 

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আইপিও চাঁদা গ্রহণের তারিখ ঠিক হবে বলে জানায় ব্যাংকটি।

২০১৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে বেসরকারি নয়টি ব্যাংক অনুমোদন পেলেও এনআরবিসি ব্যাংকই প্রথম আইপিওর অনুমোদন পায়।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল জানান, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশব্যাপী উপশাখা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ব্যাংকটি।

পারভেজ তমাল আরও জানান, করপোরেট সেক্টরে বা রফতানিমুখী শিল্পে গ্রাহকরা পরীক্ষিত। ফলে তাদের দ্রুত ঋণ দেয়া যায়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) এভাবে ঋণ দেয়া কঠিন।

ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসীদের অর্থ দেশের বিনিয়োগে নিয়ে আসা ও রেমিট্যান্স বাড়ানো। কিন্তু আমাদের ব্যাংকের লাইসেন্স দেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকের মতো। ফলে প্রবাসীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বাধার মুখে পড়ছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

‘উৎপাদনে সঙ্গে জড়িতরা ঋণ পাচ্ছে। কিন্ত এর সংখ্যা খুবই কম। এ খাতের ৭০ শতাংশ হচ্ছে ব্যবসা ও সেবা খাতের। এদের ঋণ-সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে না। ঋণ তুলনামূলক কম পায়। তারপরও করোনাকালে সরকারের প্রণোদনার ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে এসএমই খাতে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারাদেশে ৫৫০টি শাখার মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। দেশে প্রথম উপশাখা করার অনুমোদন পায় এ ব্যাংক। ৩৬৫ টির বেশি উপশাখার মাধ্যমে বর্তমানে সেবা দিচ্ছে ব্যাংকটি।   

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুখতার হোসেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. তালহা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচারক এএম সাইদুর রহমান, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান কবীর আহমেদ প্রমুখ।

বর্তমানে বিআরটিএ লাইসেন্স, ই-টিআইএন, অনলাইন জমি রেজিষ্ট্রেশন ফি জমা দেয়াসহ সাধারণ ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৭৪ লাখ মানুষকে সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।

এ বিভাগের আরো খবর