পুঁজিবাজারে প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও) ছেড়ে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পেল জীবন বিমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মিত সভায় কোম্পানিটির আইপিওর প্রসপেক্টাস প্রকাশের অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিমের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোনালী লাইফ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এক কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা তুলবে।
এই টাকায় সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ছাড়াও কোম্পানিটির আইপিওর ব্যয় মেটানো হবে।
২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির প্রকৃত সম্পদ মূল্য ২৫ দশমিক ৪৭ টাকা।
অবশ্য কোম্পাটির কোনো সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করা হয়নি। হলে সম্পদের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে। কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা রয়েছে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও অগ্রণী ইকুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ২০১১ সালে মোট ১১টি বিমা কোম্পানির অনুমোদন দেয়, যার মধ্যে নয়টি জীবন বিমা ও দুটি সাধারণ বিমা।
এগুলোর মধ্যে সোনালী লাইফ প্রথম কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পেল।
নিমানুযায়ী বিমা কোম্পানির ব্যবসার শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। না হলে প্রতিদিনের জন্য গুণতে হয় জরিমানা।
বর্তমানে দেশে জীবন ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে ৭৮টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৮টি। দেশ ও সোনালী লাইফ সম্প্রতি আইপিওর অনুমোদন পেয়েছে। সেই হিসেবে ২৮টি পুঁজিবাজারের বাইরে রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সোলানী লাইফের আইপিওর চাঁদাগ্রহণ শুরু হবে আগামী বছরের মার্চে।
এদিকে কমিশন সভায় ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ এবং নর্থ ওয়েস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘনের কারণে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।