বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য যে ধরনের নীতি সহায়তা দরকার, তা নিশ্চিত করবে সরকার।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি) বিষয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান করা হয়।
টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। ২০১৮ সালের মার্চে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিন সূচকে বাংলাদেশ সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। সামনের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা এসডিজি বাস্তবায়ন করে ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ আর ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক হলেও অন্যান্য অগ্রাধিকার খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এসব খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে চার কোটি ডলার (৩৪০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা, হালকা প্রকৌশল ও প্লাস্টিক পণ্য বহুমুখীকরণে সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেদার অ্যান্ড লেদারগুডস, ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ সোহনা ফেরদৌস সুমি।