পুঁজিবাজার থেকে মুলধন সংগ্রহে আসা নতুন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করলেই মিলবে শেয়ার। এমন বিধান চালুর কথা ভাবছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত ৩০ নভেম্বর বিএসইসির এক গণশুনানিতে আইপিওর শেয়ার বরাদ্দে এমন প্রস্তাব আসার পর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। একই সঙ্গে আলোচনায় আসে আবেদনকারীদের পুঁজিবাজারে ন্যুনতম বিনিয়োগ থাকার বিষয়টিও।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই); চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক এসব বিষয়ে মতামত চাওয়া হবে। পরে তৈরি করা হবে একটি কর্মপরিকল্পনা।
কীভাবে মিলবে শেয়ার
ধরা যাক কোনো একটি কোম্পানি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এক কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে। প্রচলিত নিয়মে ৫০০টি শেয়ারে একটি লট হওয়ায়, তা বরাদ্দ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার জনকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবেদন বেশি পড়ায় লটারির মাধ্যমে শেয়ার বণ্টন করা হয়ে থাকে।
নতুন পদ্ধতি চালু হলে ওই এক কোটি শেয়ার পেতে যতজন আবেদন করবেন তাদের মধ্যে সমবণ্টন করা হবে। পরিস্থিতি যদি এমন হয় এক কোটি শেয়ার পেতে ৫০ হাজার বিনিয়োগকারী আবেদন করল, সমবণ্টন হলে প্রত্যেকে ২০০টি করে শেয়ার পাবেন।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেকে আইপিওতে আবেদন করে শেয়ার না পেয়ে হতাশ হন। তাদের জন্য নতুন পদ্ধতি আশাব্যাঞ্জক হবে।’
রেজাউর করিম জানান, আইপিওতে আবেদনের জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগ লাগবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
সবকিছু ঠিকঠাক এগুলে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের আইপিও থেকেই এ পদ্ধতি শুরু হতে পারে।
পুঁজিবাজারে ফিক্সড প্রাইজ পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য, যার ১০ শতাংশ থাকে এনআরবি বা অনাবাসি বাংলাদেশিদের। এছাড়া এলিজেবল বা যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয় ৪০ শতাংশ। এরমধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ভাগে রাখা হয় ১০ শতাংশ।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়।