চারটি সম্ভাবনাময় রফতানি খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি নতুন তহবিল গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খাতগুলো হচ্ছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা সামগ্রী এবং হালকা প্রকৌশল শিল্প।
এসব খাতে কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে অবকাঠামোগত বিনিয়োগে সহায়তার অংশ হিসেবে এক্সপোর্ট কম্পিটিটিবেনস ফর জবস (ইসিজি-৪) প্রকল্পের আওতায় এ তহিবল গঠিত হয়েছে। ৪ কোটি ডলার (৩৪০ কোটি টাকা) সমমূল্যের এ তহবিলের অর্থ অনুদান ও কারিগরি সহায়তা হিসেবে বিনিয়োগ করছে বিশ্ব ব্যাংক। কাল বুধবার এই তহবিলের অর্থ ছাড় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর কালভার্ট রোডে পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন (ইসিজি-৪) প্রকল্পের উদ্যোগে প্রকল্প বিষয়ে নলেজ শেয়ারিং শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি) এর অধীনে প্রকল্পটিতে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে।
এর মাধ্যমে এসব খাতে সারাদেশে ১৫ থেকে ২০ টি অঞ্চলভিত্তিক রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২৫০ টি রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তার প্রাতিষ্ঠানিক মানদণ্ডকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনাময় এই রপ্তানি খাতগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ বহুগুণ বাড়বে এবং বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি ও প্রশাসন) এবং ইসিজি-৪ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ওবায়দুল আজম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ জোয়ারদার, শেখ মো. আব্দুর রহমান, মো. লুৎফর রহমান, সবুজ এ ইকবাল প্রমুখ।
নতুন এই তহবিলের লক্ষ্য সম্পর্কে প্রধান অতিথি ওবায়দুল আজম বলেন, অনেক খাতের অনেক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে এসব পণ্য রপ্তানি হওয়ায় এর বাজার সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। প্রকল্পের আওতায় গঠিত নতুন এই তহবিলের অর্থ দিয়ে সংশ্লিষ্ট পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটানো হবে।
ক্লাস্টার (গুচ্ছ) ভিত্তিক আগ্রহী খাতগুলোর উদ্যোক্তারা আবেদন সাপেক্ষে এই অনুদানের অর্থ নেয়ার সুযোগ পাবেন। বাছাই করা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আগামী জানুয়ারি থেকেই অর্থ ছাড় শুরু হবে।