বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রিমিয়ামে শেয়ার বেচে ৭ বছরেই লোকসানে অ্যাপোলো ইস্পাত

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:১৫

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে দুই টাকা ৩১ পয়সা। যেখানে আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫০ পয়সা।

এবার শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাত।  

৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার ডিএসইর ওয়েবসাইটে তা জানিয়ে দেয়া হয়।

এতে জানানো হয়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে দুই টাকা ৩১ পয়সা। যেখানে আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫০ পয়সা।

এ সময়ে কোম্পানির সম্পদমূল্যও কমেছে। শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৭ দশমিক ৩০ টাকা, আগের বছরে যা ছিল ২০ দশমিক ১৯ টাকা।

অ্যাপোলো ইস্পাত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৩ সালে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির তালিকায় (‘এ’ শ্রেণিভুক্ত) থাকলেও, ২০১৯ সালে নেমে আসে ‘বি’ শ্রেণিতে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দেয়, সে সব কোম্পানি  ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত।  

১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিলে নেমে যায় ‘বি’ শ্রেণিতে। আর কোনো লভ্যাংশ না দিলে, অবনমন ঘটে দুর্বল মৌলভিত্তির কাতার, অর্থাৎ ‘জেড’ শ্রেণিতে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১২ টাকা প্রিমিয়ামসহ (অভিহিত মূল্যের অতিরিক্ত) প্রতি শেয়ার ২২ টাকা দরে পুঁজিবাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা মূলধন তোলে অ্যাপোলো ইস্পাত।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ারের প্রিমিয়াম মূল্য নিলেও, তালিকাভুক্তির সাত বছরের মাথায় লোকসান দেখালো কোম্পানিটি।

শুধু তাই নয়, পর্ষদে থাকার জন্য ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের যে বাধ্যবাধকতা, তাও মানেনি কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা।  

বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪০১ কোটি টাকা, যার মাত্র ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে।

আইপিওর অনুমোদন পাওয়ার আগেই বিতর্কের জন্ম দেয় কোম্পানিটি। ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সে সময়ের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিএসইসিকে চিঠি পাঠিয়ে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।চিঠিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানিটির আইপিও নিয়ে তার কাছে নালিশ এসেছে। বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানিটি অচল। আইপিওর মাধ্যমে তারা বেশ কিছু সম্পদ লুটের আয়োজন করেছে।

অর্থমন্ত্রীর ওই চিঠির পর স্থগিত করা হয় কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়া। যদিও এক মাসের ব্যবধানে মন্ত্রী তার অবস্থান পাল্টালে টাকা সংগ্রহের অনুমোদন পায় কোম্পানিটি।

৩০ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ ডিসেম্বর।

এ বিভাগের আরো খবর