শীতের আগমনে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তার। পরিস্থিতি সামাল অনেক দেশ আবারও লডডাউনের মতো পন্থা বেছে নিচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের বাজারেও।
নতুন করে করোনা বাড়ায় এবং লকডাউনের খবরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবার কমেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ১টা ১৭ মিনিটে আন্তর্জাতিক বাজারে দেখা যায়, জ্বালানি তেলের প্রধান ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ব্যারেল প্রতি ১৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি হয় ৪৯ দশমিক শূন্য ৯ ডলারে।
অপরিশোধিত তেলের ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে ব্যারেল প্রতি ১৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি হয় ৪৬ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে।
অথচ দুটি কোম্পানির তেলের দামই গত সপ্তাহে টানা পাঁচ দিন উঠতির দিকে ছিল।
জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড ময়া বলেন, ‘টিকার খবরের পর ক্রুডের (অপরিশোধিত জ্বালানি তেল) দামের উন্নতি হয়েছিল। লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টিতে করোনা আক্রান্তের আরও একটি রেকর্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার সতর্কতা সংকেত বাড়ানোয় তা পড়ে গেছে।
‘কোভিড নিয়ন্ত্রণের নানা পদক্ষেপ ও বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে মনে হচ্ছে স্বল্প সময়ের জন্য ক্রুডের দাম ব্যাপকভাবে পড়ে যেতে পারে।’
আশঙ্কাজনকভাবে উঠতির দিকে আছে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বারসহ জনসমাগম স্থলগুলোতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
রোববার দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়ার অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন আরোপ করতে যাচ্ছে তারা। এই লকডাউন চলতে পারে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আর দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা রাজধানী সিউল ও আশপাশ এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নিয়ম আবার বলবৎ করবে। এই নির্দেশনা চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বহাল রাখা হবে।
সরকারগুলোর এসব সিদ্ধান্তের পড়ছে জ্বালানি তেলের বিশ্ব বাজার ও শেয়ার বাজারে।