বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাতুনগঞ্জে ফের বাড়ল ডালের দাম

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৩৯

খাতুনগঞ্জে মানভেদে বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১১০ টাকা। অথচ গত মাসে বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

এক মাসের ব্যবধানে দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বেড়েছে ডালের দাম। নতুন চালানের ডাল দেশে না আসায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক ও মিল মালিকরা।

তবে ডাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালান না আসার অজুহাতে ডাল মজুদ করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।

খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, খাতুনগঞ্জে মানভেদে বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১১০ টাকা। অথচ গত মাসে বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

মসুর ডালের পাশাপাশি অন্য ডালের দামও বেড়েছে বাজারে। ১ মাসের ব্যবধানে সাদা মটর ডাল কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায়, মুগডাল ৯৫ থেকে ১১৫ টাকা, মটর ডাল ৩৫ টাকা, চনার ডাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দর অনুযায়ী, বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, মাঝারি দানা মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সরকারি সংস্থাটির বাজার দরে পণ্য দুইটির দাম গত এক মাস ধরে স্থিতিশীল উল্লেখ করা হয়েছে।

খাতুনগঞ্জে প্রায় ৪০টি ডাল মিল রয়েছে। এসব মিলে আমদানি করা দানা থেকে ক্র্যাশিং (ভেঙে) করে ডাল উৎপাদন করা হয়।

খাতুনগঞ্জ ডাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি আহমদ রশি আমু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন চালানের দানা এখনো মিলে আসেনি। তাই বাজারে ডালের কিছুটা টান পড়েছে। এজন্য মূলত দাম বেড়েছে।'

একই কথা বলেছেন আমদানিকারকরা। চট্টগ্রামের ডাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক ছিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বলেন, কানাডা-অস্ট্রেলিয়া থেকে থেকে শিপমেন্ট (ডালের সরবরাহ) কম হচ্ছে। বড়দিনকে কেন্দ্র করে সেখানকার ব্যবসায়ীরা শিপমেন্ট কমিয়ে দিয়েছেন। মিল থেকে ডাল না যাওয়ায় বাজারে ডালের মজুত কমে যাচ্ছে। ফলে দামও বাড়ছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকজন ব্যবসায়ী ডালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন।

খাতুনগঞ্জের তৈয়্যবিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা নিউজবাংলাকে বলেন, আমদানিকারকদের কারসাজিতে ডালের দাম বেড়েছে। প্রতিবছর শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে ডালের দাম কমে যায়। কিন্তু এবার উল্টো বেড়ে গেছে।

ডালের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

চট্টগ্রামের বাকলিয়া সাবানঘাটা এলাকার ক্রেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, রমজান এলে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে বাড়ানো হয় ছোলার দাম। এখন বড়দিনের অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। আসলে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত পুঁজির জন্য এসব কারসাজি করেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এদিকে ডালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রশাসনকে অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সংকটের কথা বলা বাজার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করছে। তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে অভিযান চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশে বছরে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য মসুর ডালের চাহিদা ৫ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে মসুর ডাল উৎপাদন হয়েছে আড়াই লাখ টন। বাকি চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর