বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়েও বাড়ল রফতানি আয়

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:৫৮

এ বছরের নভেম্বর মাসে ৩০৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের নভেম্বরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩০৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের রফতানি আয়ে নতুন করে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও সে ধাক্কা লাগেনি।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নভেম্বরে রফতানি কমেনি; বরং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

এ বছরের নভেম্বর মাসে ৩০৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের নভেম্বরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩০৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

আলোচ্য সময়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার; বা দশমিক শূন্য ৭৬ শতাংশ।

সবমিলিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এক হাজার ৫৯২ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় এক শতাংশ বেশি।

পোশাক শিল্পের মালিকরা বলছেন, করোনার কার্যকর টিকা আবিষ্কার ঘোষণার পর সারাবিশ্বে মানুষের মনে স্বস্তির সুবাতাস বইছে। এর ফলে রফতানি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

পোশাক শিল্প মালিকরা একথাও বলেন যে, ইউেরাপ ও যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের বড় বাজার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্থায়ী হলে আগামীতে রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

করোনা মহামারির মধ্যে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দেশের রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেপ্টম্বরে ঘুরে দাড়াঁনোর পর অক্টাবরে কিছুটা হোঁচট খায়।

এ মাসে অর্থাৎ নভেম্বরে ফের উর্ধ্বমুখী ধারা দেখা যায়। অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় কমেছিল ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

ইপিবির হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে মোট রফতানি হয় ১ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৭১ লাখ ডলার।

রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সময়ে বড় ক্রয়াদেশ দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ক্রেতারা। অল্প অল্প করে ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন তারা।

করোনার মধ্যে বিশ্ববাজারে অপেক্ষাকৃত কম দামের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ কারখানা কম মূল্যের পোশাক বানায়। যে কারণে রফতানি বেড়েছে।

ইপিবির পরিসংখ্যান দেখা যায়, পাঁচ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে এক হাজার ২৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতের রফতানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৩০৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

এ বিভাগের আরো খবর