বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রণোদনা প্যাকেজ: কোন খাতে কত ছাড়

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:৩১

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হওয়া প্যাকেজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বড় উদ্যোক্তাদের জন্য ৩০ হাজার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। এছাড়া রয়েছে কৃষিতে শস্যবহির্ভুত খাতে পাঁচ হাজার আর ক্ষদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী কৃষকদের জন্য দুই হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা।

করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় মোট ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি সবখাতে সমান নয়। বড় ঋণে বিতরণের হার ৯০ শতাংশ হলেও ছোট ঋণে অগ্রগতি মাত্র ৩২ শতাংশ। অন্যখাতে বিতরণ হারও সন্তোষজনক নয়।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবন বিষয়ে এক সেমিনারে এসব তথ্য ওঠে আসে।

সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে প্রণোদনার সব ঋণ বিতরণ করা না গেলেও, অন্তত ৯০ ভাগ লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হওয়া প্যাকেজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বড় উদ্যোক্তাদের জন্য ৩০ হাজার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। এছাড়া রয়েছে কৃষিতে শস্যবহির্ভুত খাতে পাঁচ হাজার আর ক্ষদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী কৃষকদের জন্য দুই হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা।

এসব প্যাকেজ বাস্তবায়নের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি সবপক্ষই। তাদের অভিযোগ, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত ছাড়াও, অন্যান্য ছোট খাতের প্যাকেজগুলোর তেমন একটা অগ্রগতি নেই।

জবাবে খাতভিত্তিক প্রণোদনা ছাড়ের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। জানান, ‘সিএমএসএমই খাতে নভেম্বর পর্যন্ত ৪৯ শতাংশ ঋণ ছাড়ের অনুমোদন হয়েছে, টাকার অঙ্কে যা ৯ হাজার ৯৪৬ কোটির মতো। আর ছাড় হয়েছে ৪১ দশমিক ০৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে ৮ হাজার ২১৮ কোটি।’

মোট ৬১ হাজার ৯১৩ জন সুবিধাভোগী এসব ঋণ পেয়েছেন বলেন জানান গভর্নর। আর বড়দের জন্য ঘোষিত প্রণোদনার সুবিধা নিয়েছেন দুই হাজার ৭৬৯ জন।

গভর্নর আরও জানান, কৃষিখাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ফসল বহির্ভূত খাতে নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৬৮০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন হয়েছে। বিতরণ হয়েছে দুই হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। বিতরণের হার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর সুবিধা পেয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৪২৭ জন।

ছোট ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী কৃষকদের জন্য ঘোষিত প্রণোদনার ছাড় অনুমোদন করা হয়েছে এক হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। বিতরণ ৯৬৭ কোটি টাকা। বিতরণে অগ্রগতি ৩২ শতাংশ। সুবিধাভোগী এক লাখ ৩১ হাজার ১৬১ জন।

অগ্রগতি কম কেন, তার কারণ ব্যাখ্যা দিতে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘অনুমোদিত সাড়ে সাতশ ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বড় কয়েকটি ছাড়া, বাকিরা ঋণ ছাড়ে আগ্রহী না। কেননা তারা মাঠপর্যায়ে ঋণ দিচ্ছে ২০ শতাংশ সুদে। বিপরীতে প্রণোদনার ঋণের সুদ ৯ শতাংশের মধ্যে। আর তাই ঋণ দিতে খুব একটা উৎসাহী নয় তারা।’

এ বিভাগের আরো খবর