প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা পাওয়া আরও সহজ করল বাংলাদেশ বাংক। এখন থেকে রেমিট্যান্স যে ব্যাংকের মাধ্যমে আসবে সেই ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করবে।
এতে রেমিট্যান্স উত্তোলনকারীর ভোগান্তি কমবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেয়।
বিদ্যমান নির্দেশনা অনুযায়ী, পাঁচ হাজার ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্স এলে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা মেলে। এর বেশি রেমিট্যান্স এলে প্রবাসে থাকা রেমিট্যান্স প্রেরণকারীর কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অনুলিপি ব্যাংকে দেখিয়ে প্রণোদনার আবেদন করতে হয়।
আগে ওই কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে পাঠানো লাগতো। এখন দেশের যে ব্যাংকে রেমিট্যান্স আসবে সেখানে জমা দিলেই হবে। ওই কাগজপত্র সঠিক কি না তা যাচাই করবে ব্যাংক। রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যাংক নিশ্চিত করলে প্রণোদনা দিয়ে দেবে স্থানীয় ব্যাংক।
এই নির্দেশনা গত ১ জুলাই থেকে আসা রেমিট্যান্সের ওপরও প্রযোজ্য হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা চালু করে সরকার। এরপর থেকে রেমিট্যান্স বাড়তে থাকে। গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। যা এর আগের অর্থবছরে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ডলার। যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশেরও বেশি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ৭৭১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার মধ্যেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার বড় কারণ এখাতে সরকার দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠালে তার স্বজনরা ১০২ টাকা পাচ্ছে।
‘নতুন এই নির্দেশনার ফলে দেশে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠানো এখন অনেক সহজ হলো। এতে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে আশা করি’-যোগ করেন তিনি।