২৫ বছরের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে বড় পতনের পর পুঁজিবাজারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এইচএসবিসির শেয়ারের দাম।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ব্যাংকটির গুরুত্বপূর্ণ পুঁজিবাজার ইউরোপ ও এশিয়ায় শেয়ারের মূল্যে ঘটেছে বড় উল্লম্ফন।
হংকংয়ে এইচএসবিসির শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। লন্ডনে বেড়েছে ৪৮ শতাংশ।
বছরের এই প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে শক্ত অবস্থান পেলেও বছরের শুরুর অবস্থায় এখনও ফিরে যেতে পারেনি ব্যাংকটি।
করোনারভাইরাস সংকটের ধাক্কা সামাল দিতে এইচএসবিসি ব্যয় কমানোর যে পথ বেছে নেয় অক্টোবরেই এর আশাতীত সুফল পাওয়া যায়।
এই প্রান্তিকে লাভের পরিমাণ ৪৬ শতাংশ কমলেও এশিয়ায় ব্যাংকটি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করপূর্ববর্তী মুনাফা ৩২০ কোটি ডলার।
এর মধ্যে করোনাভাইরাস রোধের ভ্যাকসিনের খবর আসার পর ব্যাংকটির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ফিরেছে বিনিয়োগকারীদেরও।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের টানাপোড়েন কমার সম্ভাবনাও পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির ঘুরে দাঁড়ানোয় কাজে দিয়েছে।
অন্যসব অর্থনৈতিক খাতের মতো করোনা সংকট বড় ধাক্কা হয়ে আসে এইচএসবিসিতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকটি তাদের কাঠামো পুনর্গঠন করছে।
এইচএসবিসি’র প্রধান নির্বাহী নোয়েল কুইন জানান, পুনর্গঠন পক্রিয়ার পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এতে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকটির ৩৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাতে পারেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুচরা ব্যাংকিং কার্যক্রম একেবারে গুটিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে এইচএসবিসি’র। তাদের নজর এশিয়া অঞ্চলের লাভজনক খাতগুলোতে।