বাজারে গিয়ে ক্রেতার যে অনুভূতিই হোক না কেন, অন্তত কাগজ-কলমের হিসাব বলছে, নভেম্বরে কম ছিল জিনিসপত্রের দাম।
গত নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ, অক্টোবরে যা ছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় ১ শতাংশীয় পয়েন্ট।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিবিএস-এর তথ্য ঠিক হলে নিঃসন্দেহ তা স্বস্তির খবর। গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির যে উর্ধ্বমুখী ধারা ছিল, তাতে জনজীবনে নাভিশ্বাস ওঠে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় আরেকটি নির্দিষ্ট সময়ে জিনিসপত্রের সামগ্রিক দাম বেড়ে যাওয়াকে মূল্যস্ফীতি বলে।
জিনিসপত্রের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তি বাড়ে স্বল্প আয়ের মানুষের। কঠিন হয়ে পড়ে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনাও।
এ কারণে সব দেশের সরকারই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক থাকে। বাংলাদেশ সরকারও চেষ্টা করছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু ঠিকমতো সামলে উঠতে পারছে না। সেই বিচারে নভেম্বরে কমার তথ্য সরকারের জন্য স্বস্তির খবর।
বিবিএস বলছে, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, মাছ, শাক-সবজি ও মসলার দাম অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে কমেছে, যা মূল্যস্ফীতি কমাতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
নভেম্বরে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, অক্টোবরে চেয়ে যা ১ দশমিক ১২ শতাংশ কম। আর শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৭, যা অক্টোবরে ছিল ৬ দশমিক ০৩ ভাগ।