পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পেল দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে মোট ১৬ কোটি টাকা তুলবে।
বুধবার কোম্পানিটির এ সংক্রান্ত আবেদন অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানায়, পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ড, স্থায়ী আমানত ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। এ টাকা থেকেই মেটানো হবে আইপিও-এর ব্যয়ও।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, দেশ ইন্সুরেন্সের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দেখানো হয়েছে এক টাকা ৩৬ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১১ টাকা ৬২ পয়সা। অবশ্য কোম্পানিটির কোনো সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করা হয়নি। পুনর্মূল্যায়ন হলে সম্পদের আর্থিক মূল্য বাড়তে বা কমতে পারে।
দেশ ইন্সুরেন্সের আইপিওর চাঁদাগ্রহণ বা সাবস্ক্রিপশন শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে। বিএসইসি বলছে, ডিসেম্বরের শুরুতে অনুমোদন দেয়া হলেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে চাঁদাগ্রহণের সময় ফেব্রুয়ারিতে ঠিক করা হয়েছে।
বিএসইসি জানায়, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ারের চাঁদাগ্রহণ শুরুর অন্তত পাঁচ দিন আগে থেকে এলিজিবল বা যোগ্য ইনভেস্টরদের হিসাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ থাকবে হবে। এক্ষেত্রে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড ও স্বীকৃত প্রভিডেন্ড ফান্ডের বিনিয়োগ থাকতে হবে ৫০ লাখ টাকা। আর অন্য এলিজেবল ইনভেস্টরদের থাকতে হবে এক কোটি টাকার বিনিয়োগ।
দেশ ইন্সুরেন্স ২০০০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। নিয়মানুযায়ী বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে বিমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসতে হয়, না হলে প্রতিদিনের দেরির জন্য গুণতে হয় জরিমানা।
কিন্তু দেশ ইন্সুরেন্সের লেগে গেল ২০ বছর। জানা গেছে, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা) কাছে বারবার সময় চেয়ে সময়ক্ষেপণ করেছে কোম্পানিটি।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হলে বিমা কোম্পানিগুলোর সনদ বাতিল করা হবে। ওই হুঁশিয়ারির এক বছর পেরিয়ে গেলেও বাজারে এসেছে মাত্র একটি কোম্পানি। দেশ ইন্সুরেন্স তালিকাভুক্ত হলে হবে দুটি।
বর্তমানে দেশে জীবন ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে ৭৮টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৮টি। বাকি ৩০টি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি।
দেশ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সহসভাপতি জসমি উদ্দিন।