বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম বন্দর: ধ্বংস হচ্ছে ৪৯ টন রাসায়নিক

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:১৬

চট্টগ্রাম বন্দরে কী পরিমাণ বিপজ্জনক পণ্য আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য গত ৯ আগস্ট ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বন্দরের ভেতরে ২৩ ধরনের বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্যের মজুদ খুঁজে পায়।

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক ৪৯ টন রাসায়নিক পণ্য সরানো হচ্ছে। এসব পণ্য ধ্বংসের জন্য বুধবার চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর এসব পণ্য সুনামগঞ্জের সুরমা এলাকায় লাফার্জ হোলসিমের সিমেন্ট কারখানায় জিওসাইকেল পদ্ধতিতে ধ্বংস করা হবে।

চলতি বছরের ৪ আগস্ট লেবাননের বৈরুত বন্দরে এ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের বিস্ফোরণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা রাসায়নিক পণ্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

এরপর চট্টগ্রাম বন্দরে কী পরিমাণ বিপজ্জনক পণ্য আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য গত ৯ আগস্ট ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বন্দরের ভেতরে ২৩ ধরনের বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্যের মজুদ খুঁজে পায়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বন্দরে পড়ে থাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ডায়াথোনাইট,  সালফক্সিলেট, হাইড্রোক্লোরাইড, নাইট্রো গ্লু সলিউশন, কস্টিক সোডা, বেভারেজ কনসেনট্রেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি। এসব পণ্য বন্দরের পি-শেড, ১২ ও ১৩ নং শেড, এনসিটি সিএফএস, সিসিটি সিএফএস শেডে পড়ে ছিল।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল আল রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ৫৩টি লটের ৪৯ টন রাসায়নিক পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পণ্য ড্রামে রাখা। পণ্যগুলো যে অবস্থায় সে অবস্থায় কনটেইনারে করে তিনটি কাভার্ড ভ্যানে করে সুনামগঞ্জে পাঠানো হচ্ছে। বুধবার বিকেলে এসব পণ্য নিয়ে কাভার্ড ভ্যান তিনটির চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে এসব পণ্য চট্টগ্রামের কোনো এক জায়গায় মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংস করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর আবেদন করে কাস্টমস হাউস। কিন্তু রাসায়নিক পণ্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ধ্বংস করতে বলেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপর অধিদপ্তরের নির্দেশে বিপজ্জনক পণ্যগুলো পাঠানো হচ্ছে সুনামগঞ্জে।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম নগরের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী বলেন, রাসায়নিক পণ্য দুই হাজার ডিগ্রি উত্তপ্ত আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করতে হবে। এই পদ্ধতিকে জিওসাইকেল বলা হয়। এটি আছে শুধু সুনামগঞ্জের লাফার্জ হোলসিমের একটি সিমেন্ট কারখানায়। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরের রাসায়নিক পণ্য ধ্বংসে সহায়তা করবে।

এ বিভাগের আরো খবর