বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাতক্ষীরায় চিংড়িচাষিদের দুর্দিন

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৫৩

বাজারে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরের গলদা চিংড়ি এখন ৭০০টাকা। এক হাজার টাকা দরের ছোট বাগদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এক হাজার ২০০ টাকা দরের বড় চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০ টাকায়।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও করোনাভাইরাসের কারণে সাতক্ষীরায় চিংড়ি শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাছটির দাম কমায় লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। এমন বাস্তবতায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরের গলদা চিংড়ি এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হাজার টাকা দরের ছোট বাগদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এক হাজার ২০০ টাকা দরের বড় চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।

চিংড়িচাষি খায়রুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর বেড়িবাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার অনেক উপজেলায় হাজার হাজার বিঘা জমির মাছের ঘের ভেসে যায়। এতে চিংড়িচাষিদের পথে বসার উপক্রম।

একই কথা জানান শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল। তিনি জানান, আম্পানের পর কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ২৩ গ্রাম ও কয়েকশ চিংড়ি ঘের ভেসে যায়। এ ছাড়া করোনার কারণে বছরের শুরু থেকে চিংড়ি ও কাঁকড়া রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন চাষিরা।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া ও হাজরাখালিসহ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ২২টি গ্রাম ও শতাধিক চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়। এতে চিংড়িচাষিদের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়।

আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, শ্যামনগরের কাশিমাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম ও পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের জন্য সরকারি সহায়তা কামনা করেছেন।

সাতক্ষীরার মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৯ সালে সাতক্ষীরায় ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়। এ বছর তা বেড়ে ৭৬ হাজার হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছর ছিল ৩২ হাজার মেট্রিক টন। এ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ৪১ হাজার মেট্রিক টন।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকাল কেটে গেলে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায়। বিদেশে চিংড়ি রফতানি শুরু হলে চাষিদের সুদিন ফিরতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর