বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনবিআরের হঠাৎ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ করদাতারা

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৩২

করদাতারা বলেছেন, এনবিআরের মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন আশা করেন না তারা।

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভূমিকায় ক্ষুব্ধ করদাতারা। তারা বলছেন, তারা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।

এনবিআরের মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন আশা করেন না তারা।

করদাতারা বলেছেন, করবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত বাধা হিসেবে বলে কাজ করবে বলে মনে করেন তারা।

আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার এনবিআরের পক্ষ থেকে এক মাস সময় বাড়ানোর ঘোষণার পর নিউজবাংলাকে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন করদাতারা।

আগের দিন এক সংবাদ সম্মেলন এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ৩০ নভেম্বরই রিটার্ন দাখিলের শেষদিন। সময় বাড়ানো হবে না।

এর পরপরই রিটার্ন জমার হিড়িক পড়ে। করোনার মধ্যে নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সবাই ছুটে যান কর অফিসে। উপচে পড়া ভিড়ের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় করদাতাদের।

এ বিষয়ে কয়েকজন করদাতা নিউজবাংলাকে জানান, একটি সিদ্ধান্তের কারণে অনেক করদাতা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। সময় বাড়বে কি বাড়বে না, তা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তারা।

তাদের মতে, আগের দিন না বলে পরের দিন সময় বাড়ানোর ঘোষণায় এনবিআর সম্পর্কে করদাতাদের মনে বিরূপ ধারণা জন্মেছে। এর ফলে কর দিতে নিরুৎসাহিত হবেন অনেকেই।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল-৫ এর করদাতা শাহাব বলেন, ‘করদাতারা সম্মানিত ব্যক্তি। কষ্টার্জিত অর্থ থেকে কর দিয়ে রাষ্ট্রকে সচল রাখছেন তারা।’

ক্ষুব্দ কন্ঠে তিনি বলেন, ‘আশা ছিল করোনার মধ্যে সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে এনবিআর। কিন্তু গত রোববার এনবিআর চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে সময় না বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় চরম হতাশ হই। এক পর্যায়ে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রিটার্ন দাখিলের প্রস্তুতি নেই।

‘কিন্তু এর একদিন পর সোমবার শেষ সময়ে যখন রিটার্ন দাখিলের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি, তখন জানতে পারি সময় বাড়ানো হয়েছে।’

রাজধানী কর অঞ্চল-৩ এ রিটার্ন দাখিল করতে আসা কাইয়ুম বলেন, ‘এভাবে করদাতাকে হয়রানি করার মানে হয় না। এনবিআর ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করতে পারে না। এটি প্রমাণ করে এনবিআরের অনেক সিদ্ধান্তই করবান্ধব নয়।’

কর অঞ্চল-৬ এর করদাতা ঢালী আলাউদ্দিন বলেন, ‘৩০ নভেম্বরের পর আর সময় বাড়বে না– এমন কথা জানার পর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অফিসে থাকা অবস্থায় এই খবর শুনি।

‘কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে অফিস থেকে বের হতে পারছিলাম না। রাতে বাসায় ফিরে সারারাত নিজের কাগজপত্র গুছিয়েছি। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। অনেক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর