বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল ১ মাস

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:৫৭

সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ছে না জানানোর এক দিন পরই এ প্রজ্ঞাপন জারি হলো।

ব্যক্তি আয়করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ছে না জানানোর এক দিন পরই এ প্রজ্ঞাপন জারি হলো।

প্রজ্ঞাপনে এনবিআর বলেছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার ২০২০-২১ করবর্ষে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানিয়েছিলেন, আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ছে না।

বলেছিলেন, ‘রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বরই থাকছে। তবে নির্ধারিত সময়ে যারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না তাদের জন্য সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।’

আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা হয়। সে বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, জরিমানার বিধান বাধ্যতামূলক নয়। করদাতা যথাসময়ে রিটার্ন জমা না দেয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে জরিমানা মওকুফ করা হবে।

এনবিআর কর্মকর্তরা বলছেন, অনেক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত; যারা করসেবা দেন। বিশেষ করে কর আইনজীবীদের অনেকেই করোনায় অসুস্থ। এছাড়া ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা সময় বাড়ানোর দাবি জানান। এসব বিবেচনায় করদাতাদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এনবিআরের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, করোনার প্রভাবে এ বছর রিটার্ন জমার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যে ভাবেই হোক এটি বাড়াতে হবে। গতবারের মতো না পারলেও কাছাকাছি রাখতে চায় সরকার। তা না হলে দুর্নাম হবে। যে কারণে বিশেষ ক্ষমতা বলে সময় বাড়ানো হয়েছে।

গত বছর মোট ২২ লাখ করদাতা রিটার্ন জমা দেন। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে ১৫ লাখ রিটার্ন জমা পড়েছে। বর্তমানে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ৫০ লাখের বেশি।

জমা পড়া রিটার্নের বড় অংশ চাকরিজীবী ও পেশাজীবী। করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ায় এবার তাদের রিটার্নের সংখ্যা তুলনামূলক কম বলে জানান এনবিআর কর্মকর্তরা।

রিটার্ন জমার সময় বার বার বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে ২০১৬ সালে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবসে রিটার্ন দাখিল শেষ দিন নির্দিষ্ট করা হয়। এ নিয়ে সে বছরই সংসদে আইন পাস হয়।

এনবিআর বলেছে, দেশে কোনো মহামারি কিংবা দুর্যোগ পরিস্থিতি হলে বিশেষ ব্যবস্থায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে সরকারের। এর অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমণের মধ্যে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৮৪ জি ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর