নতুন শিল্পনীতির খসড়া তৈরি করছে সরকার। দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিল্পনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-এসএমই খাতকে সবোর্চ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
কর্মসংস্থান সহায়ক ও প্রবৃদ্ধি নির্ভর এ শিল্পনীতিতে গ্রাম ও শহরের মানুষের বৈষম্য কমানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।
রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআইয়ের এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
শিল্পনীতির সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা নিয়ে এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারে এসএমই খাতের জন্য আলাদা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব করেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে পরামর্শ দেন শিল্পের সুরক্ষায় প্রণোদনা তহবিলে আরও বরাদ্দ বাড়ানোর।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ উদ্যোক্তা এসএমই খাতের। এ খাতে গুরুত্ব না দিলে কর্মসংস্থান বাড়বে না। তাই এ খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’শামস মাহমুদ বলেন, ‘গত তিনদশকে বাংলাদেশের শিল্পে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও, তা ছিল মূলত রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত নির্ভর ‘
জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে চামড়া, পাট, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধসহ অন্যান্য খাতে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেয়ারও দাবি তোলেন তিনি।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘রফতানিমুখী পণ্যের বহুমুখীকরণ ও দক্ষ মানবসম্পদের সংকট এখন বেশ প্রকট। এ থেকে উত্তরণে কৃষি ও এসএমই খাতের উদ্যোক্তরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
এসএমইর সংজ্ঞায়নে সমস্যা রয়েছে, যা নিরসন জরুরি বলেও মনে মনে ড. আতিউর রহমান।