বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিস্তিতে বিয়ের ঋণ মিলছে সহজে

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৮:৫০

কোনো কোনো ব্যাংকের আলাদা ঋণ পণ্য রয়েছে শুধু বিয়ের জন্য। আবার আলাদাভাবে বিয়ের ঋণ না দিলেও ৯-১০টি ব্যাংক ভোক্তা ঋণ দিয়ে বিয়ের খরচ বহনের সুযোগ দিচ্ছে।

আবদুল আউয়াল বছর তিনেক হলো একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে ঢুকেছেন। শুরুর দিকে বেতন কম হওয়ায় টাকা-পয়সা তেমন জমাতে পারেননি। কিন্তু বিয়ের জন্য পছন্দের পাত্রীর বাড়ি থেকে চাপ দিচ্ছে।

এমন সময় তিনি জানতে পারেন ব্যাংকগুলো বিয়ের জন্য ঋণ দিচ্ছে। আর দেরি নয়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটলেন ঋণ নেয়ার জন্য ব্যাংকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে নিলেন তিন লাখ টাকা ঋণ। সেই টাকায় ধুমধাম করে বিয়ে।

আউয়ালের মতো অনেকেই এখন বিয়ের জন্য ব্যাংক থেকে ভোক্তা ঋণ নিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, একটু ঘটা করে বিয়ে করা একটি সামাজিক রীতিতে পরিণত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় চাইলেও এই রীতি এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে তাদের অনেকে বাহুল্য খরচ বর্জনেরও পরামর্শ দিচ্ছেন।

ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোনো কোনো ব্যাংকের আলাদা ঋণ পণ্য রয়েছে শুধু বিয়ের জন্য। এ রকম ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উত্তরা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স অন্যতম। আবার আলাদাভাবে বিয়ের ঋণ না দিলেও ৯-১০টি ব্যাংক ভোক্তা ঋণ দিয়ে বিয়ের খরচ বহনের সুযোগ দিচ্ছে।

ব্যাংকভেদে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিয়ের ঋণ পাওয়া যায়। পরিশোধ করা যায় পাঁচ বছর ধরে। বর্তমানে ৯ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ দিচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

উত্তরা ব্যাংক: বিয়ের খরচ বহনের জন্য ২৫ হাজার টাকা থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকটি। ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা নিজের জন্য বিয়ের ঋণ নিতে পারবেন। মেয়ে বা ছেলের বিয়ের জন্য বাবা বা মা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণ নিতে পারবেন।

স্থায়ীভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরতরা এই ঋণ পাবে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ও বর্তমান প্রতিষ্ঠানে এক বছর ধরে কর্মরত হতে হবে। একই ঠিকানায় কমপক্ষে ছয় মাস বসবাস করতে হবে। তিন বছরে ঋণটি পরিশোধ করা যাবে।

ট্রাস্ট ব্যাংক: সর্বোচ্চ ঋণ এক লাখ টাকা। পাঁচ বছরে ৬০ কিস্তিতে শোধ করা যাবে। কেবল প্রথম বিয়ের সময়ই এই ঋণটি পাওয়া যাবে। বর্তমানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে কর্মরতদের জন্য এই ঋণ দিয়ে থাকে ব্যাংকটি। ঋণের সুদ নয় শতাংশ। ঋণ প্রক্রিয়াকরণ ফি পাঁচ শতাংশ। সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর দিতে হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মঈনউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ট্রাস্ট ব্যাংক সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি ব্যাংক। এ কারণে শুধু তিন বাহিনীর সদস্যদের জন্যই বিয়ের ঋণ চালু করা হয়।

আইডিএলসি ফাইন্যান্স: ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। পাঁচ বছরে ঋণটি পরিশোধ করা যাবে। বয়সসীমা ২০ থেকে ৬০ বছর। বর্তমান প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দুই বছর ধরে চাকরিরত হতে হবে।

এ ছাড়া ব্যাংক এশিয়া, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক বিয়ের জন্য ভোক্তা ঋণ দিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা।

প্রয়োজনীয় নথি: ঋণগ্রহীতা ও গ্যারান্টরের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রে ফটোকপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলের নথি লাগবে। বিয়ের খরচের বিস্তারিত তথ্য ও অফিসের পরিচয়পত্র দিতে হবে। এ ছাড়া আয়কর সনদ ও ছয় মাসের ব্যাংক হিসাবের বিবরণীও লাগবে।

এ বিভাগের আরো খবর