বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা ফের কমছে

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৪০

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আট দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে এসেছে। এক বছর আগে যা ছিল ১০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।

বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা আবারও কমতে শুরু করেছে। করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন শুরুর পর এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও, এখন তা আবার নিম্নমুখী। ব্যাংকাররা মনে করছেন, করোনার কারণে নতুন ব্যবসা উদ্যোগ থমকে থাকাই এর কারণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আট দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে এসেছে। এক বছর আগে যা ছিল ১০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।

গত অক্টোবর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ বা স্থিতি ছিল ১১ লাখ ১৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।

চলতি বছরের শুরু থেকেই বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে, গত মার্চে যা নেমে আসে ৯ শতাংশের নিচে। তবে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন শুরু হলে জুলাই থেকে ঋণ বিতরণ বাড়তে থাকে। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আগস্টে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় সেপ্টেম্বরে।

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পরপরই, গত এপ্রিলে বেশ কিছু প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। যার মধ্যে আটটি প্যাকেজই পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে।

বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের চলতি মূলধন জোগান দিতে প্রথমে ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। পরে তা দুই দফা বাড়িয়ে করা হয় ৪০ হাজার কোটি টাকা।

বড় প্যাকেজ বাস্তবায়নে গতি থাকলেও, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বা এসএমই খাতের জন্য গঠিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঋণ বিতরণে গতি কম। এজন্য এসএমই খাতে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘোষিত প্যাকেজের দ্রুত বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত তাগাদা দেয়া হচ্ছে। আশা করা যায় ডিসেম্বরের মধ্যে এক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে।’

তবে ব্যাংকাররা বলছেন, বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা এখনও তেমন তৈরি হয়নি। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন নতুন প্রকল্প তেমন একটা নেই। করোনার কারণে অনেকেই নতুন ব্যবসায় হাত দিচ্ছেন না। ঋণের যতটুকু চাহিদা রয়েছে তা মূলত চলতি মূলধনের।

‘ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে না, তা নয়। প্রণোদনার পাশাপাশি নিয়মিত ঋণও দেয়া হচ্ছে। তবে গতি কিছুটা কম। এজন্য সাম্প্রতিক বাস্তবতায় দায়ী’ যোগ করেন মাহবুবুর রহমান।

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের দাবির মুখে গত এপ্রিল থেকে ব্যাংক ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশে নেমে আসে। সেই সঙ্গে কমানো হয় আমানতের সুদ হারও। ব্যাংকারদের দাবি, এত কম সুদে ঋণ দেয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এ বিভাগের আরো খবর