বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হুমকির মুখে ঝালকাঠির লবণ শিল্প

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৩৯

লোকসানের কারণে ২০টি কারখানার মধ্যে ১২টিই বন্ধ হয়ে গেছে। কোন রকমে টিকে থাকা আটটি কারখানায়ও উৎপাদন নেই বললেই চলে।

ঝালকাঠিকে ১৮৭৫ সালে পৌরসভা ঘোষণা করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এর পর ধীরে ধীরে শহরের বুকচিরে বয়ে যাওয়া বাসন্ডা নদীর তীরে গড়ে ওঠে ২০টি লবণ কারখানা। এক সময় এই লবণ শিল্পের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে ঝালকাঠি জেলা।

কক্সবাজার থেকে কাঁচামাল এনে প্রক্রিয়াজাত করা হতো কারখানাগুলোতে। সেই লবণ প্যাকেটজাতের পর পাঠানো হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। এই শিল্পের জন্য ব্রিটিশ আমলেই এই জেলাকে দেয়া হয়েছিল বন্দরের মর্যাদা।

শতাধিক বছরের এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। কাঁচামালের দাম, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির লবণ কারখানাগুলো।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় কক্সবাজার থেকে লবণভর্তি পালতোলা সাম্পান (বড় নৌকা) ভিড়ত সুগন্ধা ও বাসন্ডা নদীর ঘাটে। শ্রমিকরা কাদামাখা লবণ প্রক্রিয়াজাতের জন্য নিয়ে যেতেন দুই তীরের কারখানাগুলোতে।

এখন আর লবণভর্তি সাম্পান আসে না। নেই শ্রমিকদের হাঁকডাকও। লোকসানের কারণে ২০টি কারখানার মধ্যে ১২টিই বন্ধ হয়ে গেছে। কোন রকমে টিকে থাকা আটটি কারখানায়ও উৎপাদন নেই বললেই চলে।

ঠিকমতো মজুরি না দেয়ায় শ্রমিক সংকটও দেখা দিয়েছে।

ঝালকাঠি লবণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস জানান, বর্তমানে যে আটটি মিল চালু আছে, সেগুলোও সপ্তাতে দুই দিন বা কোনো সপ্তাহে তিন দিন চালু থাকে। অন্য দিনগুলোতে শ্রমিকরা অলস সময় পার করে।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো দরকার। কারণ, শ্রমিকরা অন্য পেশায় চলে গেলে চালু থাকা লবণ কারখানাগুলোও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তবে মালিকপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। দফায় দফায় শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো, বাসন্ডা নদীর মুখে নাব্যতা না থাকায় বড় জাহাজ প্রবেশ করতে না পারা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ কারখানা বেড়ে যাওয়ার কারণেই ঝালকাঠির লবণ শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানান তারা।

ঝালকাঠি শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি এআরএস সল্ট ইন্ডাট্রিজের মালিক সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে কিছু ব্যবসায়ী শিল্প লবণ নামে লাইসেন্সের মাধ্যমে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে বাজারজাত করছে। যারা এটা করছে তারা কেউই কারখানার মালিক নন।’

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের চাষিদের কাছে এখনও আট লাখ টন কাঁচা লবণ মজুদ রয়েছে। এ লবণ নিয়ে বিপাকে তারাও। অথচ দেশের বাইরে থেকে লবণ আনা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর