বাংলাদেশে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল বলেছেন, ‘পিটিএ’র সকল প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী মাসে এটি স্বাক্ষরিত হবে।’
ভুটানের রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয় গণভবনে তার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে এ বিষয়টি অবগত করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ভুটানে খুব জনপ্রিয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ শুরু আমাদের বন্ধুই নয়, আমাদের ব্যবসায়ী অংশীদারও।’
রিনচেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে।
তিনি ভুটানের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানব সম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক ভুটানি শিক্ষার্থী বিশেষত মেডিক্যাল শিক্ষার্থী পড়ছেন।
ভুটানকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ ভুটান।
তিনি তার ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, দুদেশের মধ্যে ‘চমৎকার সম্পর্ক’ বিদ্যমান রয়েছে।
দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দিনগুলোতে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ভুটান দ্বিপক্ষীয় স্বার্থে সৈয়দপুর বিমানবন্দরসহ বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলার মতো সমুদ্রবন্দরগুলোও ব্যবহার করতে পারে।
প্রেস সচিব বলেন, তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস ইস্যুতেও আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, ভুটানে এখন পর্যন্ত ৩৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি তার দলের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় একসাথে কাজ করছেন।
তার সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি খাতকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।