বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: আরও প্রণোদনা চান ব্যবসায়ীরা

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:৩৮

মতবিনিময়ে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ করোনাকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক আঘাত মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে শুরু করছে। ইতিমধ্যে ভারত চতুর্থবারের মতো প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ সরকারও দ্বিতীয় দফার প্রণোদনার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে পারে।

সরকার যখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসছে বলে সতর্ক করছে তখন আবার প্রণোদনা চেয়ে বসেছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির জন্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেসামাল হতে পারে। আগে থেকেই উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে। সরকারের উচিত এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ নেয়া।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় ব্যবসায়ী নেতারা দ্বিতীয় স্তরে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অথবা আগের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের পরিধি সম্প্রসারণের কথা বলেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

সিরিজ মতবিনিময় সভার প্রথম পর্যায়ে বিষয়ের ওপর প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস মার্সি মিয়াং টেমবোন, বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ করোনাকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক আঘাত মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে শুরু করছে। ইতিমধ্যে ভারত চতুর্থবারের মতো প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ সরকারও দ্বিতীয় দফার প্রণোদনার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে পারে।

এর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘করোনার প্রথম ধাক্কা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে সরকার, যার ওপর ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।’

তিনি বলেন, ‘এখন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় মানুষ সচেতন হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্বলিত প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির জন্য এসব পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজন ছিল।

’সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার বিষয়েও সরকার সচেতনভাবে কাজ করছে। এর জন্য যেখানে যে ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন তা গ্রহণ করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে তার প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক জানান, পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই রফতানি আয় সবচেয়ে কম হয়েছে। কমেছে বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাকের দামও। তবে সরকারের সহায়তায় প্রথম ধাক্কা সামাল দেয়া গেছে।

তিনি বলেন, ’এখন আশঙ্কা দ্বিতীয় ধাক্কা নিয়ে। টিকে থাকতে হলে আবারও প্রণোদনার প্রয়োজন হবে। সরকার নিশ্চয়ই সেটি চিন্তা করছে। তবে আমরা আগের ঘোষিত প্যাকেজের আওতায় পোশাক খাতে ছাড় করা সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধে পাঁচ বছরের সময় দাবি করছি; যা কার্যকর হলে দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলা সহজ হবে।’

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানের মতে, করোনার প্রথম ধাক্কা মোকাবিলায় সরকারে উদ্যোগগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। মূলত প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা এবং তার বাস্তবায়ন ছাড়াও বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপ ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহায়ক হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রণোদনা ঘোষণা করলেও সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা সবাই পায়নি। বড়রা পেলেও অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত ছোটরা। বিভিন্ন জরিপে এটা ওঠে এসেছে। সরকারকে এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়া জরুরি।’

বিষয়ের ওপর উপস্থাপিত প্রবন্ধে অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার করেনাকালীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতি কোন পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। রিজার্ভ, রেমিট্যান্স বাড়ছে। রফতানিও বাড়তে শুরু করেছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেও বাংলাদেশ এসব সূচকের ওপর ভর করে ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর