পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে দুই শতাংশ আর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হবেন, তাদের জন্য অশনি সংকেত।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি এসব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনে প্রস্তাবিত কর্ম-পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এতে বলা হয়, ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না হলে ডিসেম্বরের মধ্যে কোম্পানি পর্ষদ পুনর্গঠন হবে।
বুধবার নিয়মিত কমিশন সভায় প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করা হয়।
বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কমিশন আন্তরিক। এজন্য করণীয় সবকিছুই করা হবে।’
তবে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া কী হবে তা নির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩২০টি।
সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্রস্তাবিত পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম দুই শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কিন্তু অনেক পরিচালকেরই তা নেই। তারপরও তারা কোম্পানিতে কর্তৃত্ব করছেন। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ন্যূনতম শেয়ার ধারণের বিধান চালু করে বিএসইসি। যদিও কখনও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
বিএসইসির নতুন নেতৃত্ব শুরু থেকেই আইনটি বাস্তবায়নে তৎপর। প্রথমে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় তারা। তবে বেশ কয়েকটি কোম্পানি সময় বাড়ানোর আবেদন করে। এই অবস্থায় আরও এক মাস সময় বাড়ানো হয়, যা শেষ হচ্ছে ৩০ নভেম্বর।
গত ২০ সেপ্টেম্বরে দুই শতাংশের কম শেয়ার ধারণ করায় ৯ কোম্পানির ১৭ পরিচালকের পদ শূন্য ঘোষণা করে বিএসইসি। এই ১৭ পরিচালকের পদ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পূরণ করতে বলা হয়। নির্দেশ দেয়া হয়, দুই শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে-এমন শেয়ারধারীদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।