বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি পাচ্ছে সাত প্রতিষ্ঠান

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:২৭

রফতানিকারকের সক্ষমতা ও যোগাযোগের ভিত্তিতে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন ও ইতালিসহ ইউরোপের যেকোনো দেশে এই চামড়া রফতানি করা যাবে।

ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির সুযোগ পাচ্ছে চামড়া সংশ্লিষ্ট সাত প্রতিষ্ঠান। তারা রফতানির নিয়ম অনুসরণ করে দেশের ট্যানারিগুলোয় মজুদ থাকা ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানি করতে পারবে।

ওয়েট ব্লু চামড়ার অর্থ হচ্ছে আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া। লবণজাত চামড়াকে রাসায়নিক দিয়ে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পশম ও ঝিল্লিমুক্ত করলে ওয়েট ব্লু চামড়ায় পরিণত হয়।

রফতানিকারকের সক্ষমতা ও যোগাযোগের ভিত্তিতে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন ও ইতালিসহ ইউরোপের যে কোনো দেশে এই চামড়া রফতানি করা যাবে।

সূত্র মতে, কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি পেতে গত কোরবানির ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত সাতটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসেসিয়েশনের ছয় সদস্য এবং বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসেসিয়েশনের এক সদস্য রয়েছেন।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আবেদন পর্যালোচনা করে আবেদনকারী সবকটি প্রতিষ্ঠানকেই রফতানির সুযোগ দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির নীতিগত সিদ্ধান্ত দিতে মঙ্গলবার বিকালে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) ওবায়দুল আযমের সভাপতিত্বে খাত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এতে সার্বিক দিক বিবেচনায় এবং আবেদন কম হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে থাকা সবকটি আবেদনই ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করা হয়। এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েট ব্লু চামড়া উৎপাদনের প্রক্রিয়া নিরীক্ষা ও রফতানি সক্ষমতা অবহিত হতে একটি ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।

এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুমোদন সাপেক্ষে ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির জন্য বিবেচিত প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত হবে। আগামী এক-দু সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।

দেশে ২২০টি ট্যানারি রয়েছে। এসব ট্যানারির উৎপাদিত প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ৭৬ শতাংশ রফতানি হয়। বাকি চামড়া অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতি বছর দেশে গড়ে ২৫০ মিলিয়ন বর্গফুট চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এর মধ্যে গরুর চামড়া ৬৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ছাগলের চামড়া ৩২ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মহিষের চামড়া ২ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ভেড়ার চামড়া ১ দশমিক ৫ শতাংশ। 

এ প্রসঙ্গে জানতে অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) ওয়াবায়দুল আযমের সঙ্গে রাতে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, রফতানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আমিন ট্যানারি, কালাম ব্রাদার্স, লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ (এলআইবি) লিমিটেড, এ কে এস ট্যানারির নাম রয়েছে। এছাড়া  বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বেলাল হোসেনের প্রতিষ্ঠানও রয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে আমিন ট্যানারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিউজবাংলাকে জানান, ‘আমার ট্যানারি প্রতি মাসে ১০ লাখ পিস কাঁচা চামড়া ওয়েট ব্লু করার সক্ষমতা রাখে। আমরা রফতানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। ইউরোপের দেশগুলোতে রফতানির আগ্রহের কথা জানিয়েছি।’

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান জানান, ‘ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের। অবশেষে সরকার বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ বাস্তবতায় সেটি অনুধাবন করেছে। এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই চামড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্দিন শেষ হোক। যারা আবেদন করেছে তারা সবাই রফতানির সুযোগ পাক। এর মাধ্যমে ট্যানারিগুলোর মজুদ চামড়ার স্টকও কমে আসুক।’

গত কোরবানির মৌসুমে কাঁচা ও ওয়েট ব্ল‍ু চামড়া রফতানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়েছিল কেস-টু কেস ভিত্তিতে এ চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়া হবে। পরে চলতি বছরের ২৯ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করে।

এ বিভাগের আরো খবর