বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করা হবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ছবিযুক্ত নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি ও নিবন্ধিত সব ভোটারকে স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনা।
এ জন্য ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। নির্বাচন কমিশনের ‘আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যানসিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)’ শীর্ষক নতুন এই প্রকল্পটিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নিবার্হী কমিটির সভায় অনুমোদন দেয়া হয় মঙ্গলবার।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আসাদুল ইসলাম।
সভায় এ প্রকল্পসহ ১০ হাজার ৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি প্রকল্প পাস হয় মঙ্গলবার। এর মধ্যে ছয়টি নতুন প্রকল্প। বাকি একটি সংশোধিত।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ভোটারদের তথ্য সংরক্ষণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নাগরিকদের পরিচিত সেবা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এছাড়া স্মার্ট কার্ডের কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হবে। বর্তমানে সাড়ে আট কোটি ভোটার স্মার্ট কার্ডের আওতায় আছে। এ প্রকল্পের আওতায় বছের ৫০ লাখ স্মার্ট কার্ড তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নির্ভুল ভোটার তালিকা করা সহজ এবং সবাইকে স্মার্ট আইডি কার্ড দেয়া সম্ভব হবে। ফলে সামগ্রিকভাবে নাগরিক সেবার মান বাড়বে। পরিকল্পা কমিশনের সদস্যরা জানান, প্রতিটি স্মার্ট কার্ড বানাতে খরচ হবে ১৫০ টাক।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ ধরনের একটি প্রকল্প আগে থাকে চালু ছিল। দুই বছর আগে ২০১৮ সালে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মেয়াদ আর বাড়ায়নি এ বহুজাতিক দাতা সংস্থাটি।
পরে সরকার নিজেই টাকা জোগানের সিদ্ধান্ত নেয় এবং চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি বর্ধিত করে। এ প্রকল্পের কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য দ্বিতীয় ধাপে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়, যা মঙ্গলবার একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ হবে বলে জানান পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তরা।
সভায় অনুমোদন পাওয়া নতুন প্রকল্পসমূহ হচ্ছে: প্রাণী পুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ ও বিপণন, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন এবং পায়রা বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। অনুমোদিত সংশোধিত প্রকল্পটি হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্প।