বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩০০ কোটি টাকা তোলার পর তিন দফা লে-অফে রিংশাইন

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:০৪

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো এক মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। তখন তাদের দাবি ছিল, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-এর প্রভাবে কমে গেছে বিদেশি ক্রয়াদেশ।

পুঁজিবাজার থেকে ৩০০ কোটি টাকা তোলার পর এক বছর না যেতেই তিন দফায় লে-অফ ঘোষণা হলো বস্ত্রখাতের কোম্পানি রিংশাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের কারখানা।

মঙ্গলবার কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে তৃতীয়বারের মতো তাদের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এ দফায় ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কারখানটি।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো এক মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। তখন তাদের দাবি ছিল, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রভাবে কমে গেছে বিদেশি ক্রয়াদেশ। কমেছে কাঁচামালের জোগানও। আর তাই বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ অনুযায়ী বন্ধ রাখতে হচ্ছে কারখানা। পরে দ্বিতীয় দফায় ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ায় ঢাকা ইপিজেডে স্থাপিত কারখানাটি।  

কিন্তু দফায় দফায় কারখানা লে-অফের এ ঘোষণা ভালো চোখে দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। তাদের আশঙ্কা, অসৎ উদ্দেশ্যেই এমনটি করছেন কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা। করোনার প্রভাব কাটিয়ে যখন অন্যেরা উৎপাদনে ফিরছে, তখন বিদেশি ক্রয়াদেশ না পাওয়ার অজুহাতে মাসের পর মাস কারখানা বন্ধ রাখা সন্দেহজনক।

তবে কোম্পানি সচিব আশরাফ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সোয়েটারের কাঁচামাল তৈরি করি। কোভিডের কারণে বিশ্ববাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই।’

গত বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয় রিংশাইনকে ঘিরে।

কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে আসার আগে প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। পরে আইপিওর মাধ্যমে তোলে আরও ১৫০ কোটি টাকা।

আর তালিকাভুক্তির পর স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর। প্রথম দিনই ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ওঠে ২১ টাকা ৯০ পয়সা। কিন্তু বছর না পেরুতেই শুরু হয় নানা টালবাহানা। এখন শেয়ারটির দর নেমে এসেছে ৬ টাকা ৪০ পয়সায়।

রিংশাইন শুরুতে শতভাগ বিদেশি মালিকানায় ছিল। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে কোম্পানির পরিচালকেরা পালিয়ে গেছেন এমন গুজবও রটে। এসইসিকে দেওয়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের এক চিঠিতে এমন তথ্য জানানো হয়।

অবশ্য পরে রিংশাইনের পরিচালকদের একটি অংশ দেশে ফেরেন। কোম্পানিটির প্লেসমেন্ট শেয়ারের প্রায় ২৭ শতাংশ একটি গ্রুপের নয় উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে, যারা কোম্পানিটির পর্ষদে বসতে চায়। এ নিয়েও কোম্পানিটির পর্ষদে একটা অস্বস্তি রয়েছে।

কিছু দিন আগেও কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ১০ কোটি টাকা; দু দফায় ২৭৫ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে তা ২৮৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। পরে আইপিও এবং বোনাস শেয়ার দেয়ার মাধ্যমে তা ৫০০ কোটি টাকার বেশি বাড়িয়ে নেয়া হয়।

এর আগে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় ২০১৯ সালের ২৫ জুন থেকে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলহাজ টেক্সটাইল। এরপর বছর পার হলেও তা চালু হয়নি। রিংশাইনের বেলায়ও এমন হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এ বিভাগের আরো খবর