দেশে ই-কমার্সের আওতায় বছরে ১০০ কোটি ডলারের (প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা) বেশি বাণিজ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সোমবার রাতে ‘ডিজিটাল অ্যান্ড গ্রিন বিজনেস রিকভারি ইন প্রাইভেট সেক্টর’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ৬৫ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আছে। ডিজিটাল এ সুবিধা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ই-কমার্সের আওতায় এখন বছরে এক বিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি বাণিজ্য হচ্ছে।’
ডিজিটাল অর্থনীতিতে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা ৯৮ ভাগ অবদান রাখছে বলেও জানান মন্ত্রী।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে বেসরকারি খাতগুলোর সরাসরি আলোচনার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তৃতীয় সংলাপটি হয় অনলাইনে।
এতে বাণিজ্যমন্ত্রী কমনওয়েলথ বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) ডিজিটাল কানেকটিভিটি, কমনওয়েলথ বিটুবি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস সৃষ্টি, ভার্চুয়াল ট্রেইনিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ও কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারোনেস পেট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড।
প্যানেল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রুয়ান্ডার ব্যবসা ও শিল্পমন্ত্রী সোরায়া হাকুজিইয়ারিমে, জ্যামাইকার বৈদেশিক ব্যবসাবিষয়ক মন্ত্রী সিনাতোরকামিনা জনসন স্মিথ, প্যাসিফিক আইসল্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান স্টিফেন লায়ন ও কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামন্থ কোহেন সিভিও।