বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইএফআইসি ব্যাংকের রাইট শেয়ারের আবেদন বাতিল

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:০৫

আন্ডাররাইটার নিয়োগ দিতে না পারায় সোমবার ব্যাংকটির আবেদনটি বাতিল করে বিএসইসি। মঙ্গলবার সকালে খবরটি নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের রাইট শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব বাতিল হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোমবার ব্যাংকটির এ সংক্রান্ত আবেদন বাতিল করে। মঙ্গলবার সকালে খবরটি নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

এতে বলা হয়েছে, আন্ডাররাইটার বা অবলেখনকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে না পারায় ব্যাংকটির আবেদন বাতিল হয়েছে। পুঁজিবাজারের নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বা রাইট শেয়ার ছাড়ার সময় আন্ডাররাইটার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। কোনো কারণে শেয়ার অবিক্রিত থাকলে আন্ডাররাইটার তা কিনে নেয়।

আইএফআইসি ব্যাংক প্রথমে ১:১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ছাড়তে চেয়েছিল। অর্থাৎ যারা ব্যাংকটির একটি শেয়ার ধারণ করেন, তারা চাইলে আরও একটি শেয়ার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিনতে পারবেন। কিন্তু গত বছরের আগস্টে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ১:৪ অনুপাতে শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।

প্রায় বছরখানেক পর ফের সংশোধন করা হয় প্রস্তাবটি। এবার ঘোষণা আসে ১:৫ অনুপাতে রাইট শেয়ার ছাড়ার। শেষ পর্যন্ত তা আর আলোর মুখ দেখল না।

এর আগে ২০১৭ সালে ১:১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ছেড়েছিল ব্যাংকটি।

১৯৭৬ সালে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স তথা আইএফআইসি নামে যাত্রা শুরু করে ব্যাংকটি। পরে ১৯৮৩ সালে চলে যায় পুরোপুরি বেসরকারি খাতে।

তবে এখনও সরকারের মালিকানায় রয়েছে ব্যাংকটির ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার। আর জনসাধারণের কাছে ৩৫ দশমিক ৩২, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় ২৭ দশমিক ০৪ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কিন্তু যারা ব্যাংকটি পরিচালনা করছেন, তাদের কাছে আছে মাত্র ৪ দশমিক ১১ শতাংশ।

অথচ বিএসইসির নির্দেশনা রয়েছে পরিচালনা পর্ষদে থাকতে হলে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। আর একক পরিচালকের থাকতে হবে দুই শতাংশ শেয়ার।

অবশ্য যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের নির্ধারিত পরিমাণ শেয়ার নেই, তাদের গত ১ নভেম্বর ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় দিয়েছে বিএসইসি। এটি শেষ হচ্ছে ৯ ডিসেম্বর।

এ সময়ের মধ্যে তারা শেয়ার কিনতে না পারলে শর্ত অনুযায়ী আইএফআইসির ব্যাংক বর্তমান পরিচালকরা পর্ষদে থাকতে পারবেন না।

বর্তমানে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬১৯ হাজার ৮৭ লাখ কোটি টাকা, যা ১৬১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৯টি শেয়ারে বিভক্ত।

২০১৯ সালে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় দেখানো হয়েছে এক টাকা ৯২ পয়সা। মোট মুনাফা ছিল ২৮২ কোটি ৭৭ টাকা। তবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে শেয়ার প্রতি আয় দেখানো হয়েছে ৭৬ পয়সা। সেই হিসাবে ব্যাংকটির প্রতি শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই ১০ দশমিক ৪৬।

এ বিভাগের আরো খবর