বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে ২ হাজার টাকা কর ছাড়

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৮:৩৩

এনবিআর কর্মকর্তাদের আশা, আগামী বছরের মাঝামাঝি অনলাইন ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল হবে।

অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে ২ হাজার টাকা কর ছাড় পাওয়া যায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ সুবিধা দিয়েছে সরকার। করদাতাদের অনলাইনের প্রতি উৎসাহিত করতেই দেয়া হয়েছে এ সুবিধা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা জানান, আধুনিক এ প্রযুক্তি ব্যবহারে এখনও অভ্যস্ত নয় করদাতারা। বেশিরভাগই প্রচলিত প্রথায় ফরম পূরণ করে রিটার্ন জমা দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে কেউ কেউ নেন আইনজীবীর সহায়তা। সাধারণত আইনজীবীরাই তাদের মক্কেলদের প্রচলিত প্রথায় রিটার্ন দিতে উৎসাহিত করে থাকেন। এসব কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা খুবই কম।

আরও একটি বড় কারণ অনলাইনে রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি চালুর পর বেশিরভাগ সময়ই তা অকার্যকর ছিল। ফলে এর সুফল পাননি করদাতারা।

দেশে একটি করবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে অনলাইনে রিটার্ন জমার ব্যবস্থা চালু করে এনবিআর। কিন্তু দুই বছর পর সফটওয়্যার ত্রুটির জন্য তা প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়।

ভিয়েতনামের একটি কোম্পানিকে এ কাজে নিয়োগ করা হলেও তাদের সঙ্গে সরকারের বনিবনা হয়নি। অভিযোগ ওঠে, কাজ শেষ না করেই এফপিটি ইনফরমেশন সিস্টেম নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি পুরো টাকা নিয়ে গেছে। ফলে তাদের বাদ দিয়েই এখন দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনরায় সফটওয়্যার উন্নতির কাজ চলছে।

এনবিআর কর্মকর্তাদের আশা, আগামী বছরের মাঝামাঝি অনলাইন ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল হবে।

এনবিআর সদস্য হাফিজ আহমেদ মুর্শেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এফপিটি ইনফরমেশন সিস্টেম করপোরেশন রিটার্ন জমা দেওয়ার সফটওয়্যারটি তৈরি করে। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় লিংকটি বন্ধ রয়েছে। তাই করদাতারা রিটার্ন দিতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সফটওয়্যার ডেভেলপ করছি। তারই অংশ হিসেবে রাজধানীর কর অঞ্চল-৬-এ সীমিত পরিসরে অনলাইনে রিটার্ন জমার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর ফলে শুধু ওই অঞ্চলের আওতাভুক্ত করদাতারা আপাতত এ সুবিধা পাবেন।

আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।

গত করবর্ষে প্রায় ২২ লাখ রিটার্ন জমা পড়ে, যার মধ্যে মাত্র ৫ হাজার পড়েছে অনলাইনে। মোট রিটার্নের যা, শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ। এর আগের বছর জমা পড়ে ১১ হাজার।

অবশ্য সরকারের আশা, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কর প্রণোদনা দেয়ায় অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়বে। 

ধরা যাক, ইমরান আহমেদ একজন করদাতা। হিসাব-নিকাশ করে তার আয় করে আসে ২০ হাজার টাকা। তিনি যদি অনলাইনে রিটার্ন দেন, তা হলে ২০০০ টাকা ছাড় পাবেন।

অর্থাৎ সরকারকে ১৮ হাজার টাকা কর দিতে হবে তার।

এ বিভাগের আরো খবর