মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়ে সাইবার হামলার আশঙ্কায়, অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা নিরাপত্তা জোরদার করেছে ব্যাংকগুলো।
গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা পর সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকগুলো অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা ছাড়াও, এটিএম বুথগুলোতে নজদারি বাড়িয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির সঙ্গে, বিগল বয়েজ নামে উত্তর কোরিয়াভিত্তিক যে হ্যাকার গ্রুপ জড়িত ছিল, তারা আবারও বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারে। হ্যাক করতে পারে সুইফট নেটওয়ার্কও।
তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ওই চিঠি পাওয়ার পর, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থায় নিরাপত্তা বাড়ায় ব্যাংকগুলো।
গত আগস্টেও সাইবার হামলার আশঙ্কায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান, সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালীসহ সবগুলো সরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ সাময়িক বন্ধ রাখাসহ নেয়া হয়েছে সব ধরনের সতর্কতা।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গত আগস্টের পর থেকেই নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে কিছু সময় এটিএম বুথ বন্ধ রাখছি।’
‘মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর নতুন করে সতর্কতা বাড়িয়েছি। বুথে প্রহরী বাড়িয়েছি। ইন্টারনেটভিত্তিক টাকা স্থানান্তর ও সুইফট সিস্টেমের বিষয়েও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে’ যোগ করেন তিনি।
রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, শনিবার রাত ১১টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত এটিএম বুথ বন্ধ রাখেন তারা। গ্রাহকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, ‘নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সাইবার হামলা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও রয়েছে আমাদের।’
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। এর আগে পরে বেশ কিছু ছোট ছোট সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে ব্যাংকিং খাতে।
গত আগস্টে বিগল বয়েজ নামের হ্যাকিং গ্রুপটি এটিএম বুথে সাইবার হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক, তাদের এটিএম ও কার্ড সেবা সাময়িক বন্ধ রাখে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে ভোগান্তিকে পড়েন গ্রাহকরা।