বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে এক মাসে দেড় লাখ বিনিয়োগকারী

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:৫৩

শেয়ার ও লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব খোলা হয়েছে ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৮১৪টি।

এক দশকের হতাশা কাটিয়ে আবারও পুঁজিবাজারমুখী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। গত এক মাসেই যোগ হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ নতুন মুখ।

শেয়ার ও লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব খোলা হয়েছে ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৮১৪টি।

১৯ অক্টোবর এ সংখ্যাটি ছিল ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৫টি। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বিও হিসাব বেড়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৯টি।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর অনুমোদন, সর্বোপরি করোনার ধাক্কা সামলে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। আর এসব কারণেই বাজারমুখী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। 

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি রবির আইপিও বিনিয়োগকারীদের বেশি আকর্ষণ করছে। ১০ বছর পর কোনো বহুজাতিক কোম্পানি বাজারে আসছে। তাও অভিহিত মূল্যে। তাই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বেশি।’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ আবু আহমদ বলেন, ‘বাজারে ভালো কোম্পানির ঘাটতি বহু দিনের। তাই ভালো কোম্পানি আসলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রবির আইপিও ঘিরে তেমনটাই দেখা যাচ্ছে।’

রবির আইপিও বড় হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর পেলেই কয়েক গুণ বেশি মুনাফা করা যাবে। এমন আশা থেকেও বিনিয়োগকারীরা আবারও বাজারমুখী হচ্ছেন বলে মনে করেন আবু আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই কেবল আইপিওতে বিনিয়োগ করে থাকে। তাদের অর্ধেকও যদি সেকেন্ডারি বাজারে থাকতেন, তাহলে বাজারের জন্য ভালো হতো।’

২০১০ সালে ধসের পর পুঁজি হারিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী বাজার ছাড়েন। সে সময়ে ৩৩ লাখেরও বেশি বিও হিসাব ছিল বাজারে। একপর্যায়ে এটি কমতে কমতে কমতে নেমে আসে ২৩ লাখের ঘরে।

পুঁজিবাজারের লেনদেনের জন্য খোলা বিশেষ হিসাবকে বলা হয় বিও হিসাব। একজন বিনিয়োগকারী নিজ নামে বা যৌথ নামে এমন অনেক হিসাব খুলে শেয়ার লেনদেন করতে পারেন।

তবে কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড কিংবা বন্ডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে নিজ ও যৌথ নাম মিলিয়ে দুটির বেশি আবেদন করতে পারেন না।

তাই একসময় অনেকেই আইপিওতে আবেদনের জন্য নামে-বেনামে শত শত বিও হিসাব খুলতেন। তাই প্রকৃত বিনিয়োগকারীর চেয়ে বিও হিসাবের সংখ্যা পুঁজিবাজারে সবসময় বেশি থাকত। অবশ্য এখন অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি চালু হওয়ায় বেনামে বিও হিসাব খোলার প্রবণতা অনেক কমেছে। 

সিডিএলের তথ্য বলছে, বর্তমানে পুঁজিবাজারে একক নামে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৯৪৮টি আর যৌথ নামে আট লাখ ৭৮ হাজার ২৭৮টি বিও হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের নামে ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৯৪ আর নারীর নামে রয়েছে ৬ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৬টি হিসাব।  

এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩০টি হিসাব রয়েছে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে।

বর্তমানে শেয়ার রয়েছে ১১ লাখ ৮২ হাজার ২৪১টি বিও হিসাবে। কোনো স্থিতি বা ব্যালেন্স নেই সাত লাখ ৭২ হাজার ৯৩১টিতে। আর ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৪১টি হিসাব কখনও ব্যবহারই হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর