করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে উন্মুক্ত ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যের আহ্বান জানিয়েছেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নেতারা।
বৃহস্পতিবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশনের (এপেক) ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা এ আহ্বান জানান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা।
বৈঠকে অর্থনৈতিক সংরক্ষণবাদ প্রত্যাখ্যান করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বিশ্বায়ন ‘অনিবার্য’।
শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরে অনুষ্ঠেয় এপেকের ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের যোগ দেয়ার কথা।
শি বলেন, ‘অন্যদের বাদ দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে বা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী তৈরি করে আমরা স্রোতের বিপরীতে কিংবা ঐতিহাসিক প্রবণতাগুলোর বিপরীতে চলতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘উন্মুক্ততা ও সহযোগিতার বিষয়ে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বহুপাক্ষিকতা ও ব্যাপক আকারে আলোচনা, যৌথ অবদান ও পারস্পরিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে নজর থাকবে আমাদের।
‘একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদের পক্ষ নেয়া, হুমকি দেয়া, অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে নেতিবাচক পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতিকে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়।’
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনের বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্কসহ নানা সংরক্ষণবাদী বাণিজ্য নীতি মেনে চলেন ট্রাম্প। এতে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এপেক ফোরামকে জানান, বাইডেন প্রশাসন বহুত্ববাদের চর্চা করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
লি সিয়েন লুং বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও এপেকের প্রতি তারা আরও সহায়তার মনোভাবসম্পন্ন হবে বলে মনে করি। দরজা উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে তারা আগ্রহী কি না, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। কারণ তা অভ্যন্তরীণ নীতির ওপরও নির্ভর করে।’