সুইজারল্যান্ডে রফতানি বাড়াতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড ইন্টার-এজেন্সি কমিটির বৈঠকে এ সুবিধা চান বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।
বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একমত হয়েছে দুই দেশ।
উভয় দেশের প্রতিনিধিরা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, ভবিষ্যতে তা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে ও সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পরে দুই পক্ষই এ বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড ইন্টার-এজেন্সি কমিটির এটি ছিল দ্বিতীয় বৈঠক।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। সুইজারল্যান্ডের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঢাকায় সুইজারল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান এরউইন বলিংগার।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে উভয় দেশের বাণিজ্য ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
বাণিজ্য সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে। রফতানিও স্বাভাবিক গতিতে ফিরে এসেছে।
সুইজারল্যান্ড প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সচিব বলেন, ‘২০২৪ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে কয়েক বছর অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (প্রিফারেনশিয়াল মার্কেট একসেস) দেয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। সুইজারল্যান্ডও একই নীতিতে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা দেবে বলে আশা করছি।’
২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য সুইজারল্যান্ডে রফতানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্য সচিব জানান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার হলে উভয় দেশই লাভবান হবে।