পুঁজিবাজারে আসছে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব-আইপিওর মাধ্যমে জন সাধারণের মাঝে শেয়ার ছেড়ে ১২০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি বুধবার এ অনুমোদন দেয়। এর মাধ্যমে প্রায় এক যুগ পর ব্যাংক খাতের কোনো কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পথ সুগম হলো।
বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সবশেষ ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে আসে।
এনআরবিসি পুঁজিবাজারে মোট ১২ কোটি শেয়ার ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালু হবে ১০ টাকা।
এনআরবিসি জানায়, ব্যাংকের পুঁজির গুণগত মানের আন্তর্জাতিক চর্চা ব্যাসেল-৩-এর শর্ত পরিপালনে, উত্তোলিত টাকার ১১০ কোটিই বিনিয়োগ করা হবে সরকারি সিকিউরিটিজে। আর সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে শেয়ারবাজারে। আর আইপিওর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে খরচ হবে বাকি সাড়ে তিন কোটি।
বর্তমানে এনআরবিসির পরিশোধিত মূলধন ৫৮২ কোটি টাকা। নতুন করে উত্তোলিত টাকা যোগ হলে, তা ৭০২ কোটি টাকা হবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত বছরের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয়-ইপিএস দেখানো হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা। এর আগের বছরের একই সময়ে যা ছিলো ১ টাকা ৮২ পয়সা। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসের ইপিএস ৬২ পয়সা।
এনআরবিসি ব্যাংক ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক পরিদফতর-আরজেএসসির ব্যাংক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন পায়।
ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু একাধিকবার সময় বাড়িয়ে, কার্যক্রম শুরুর প্রায় ছয় বছর পর পুঁজিবাজারে আসলো এনআরবিসি।
ব্যাংকটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।