যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন এড়ানোর উপায় খুঁজছে ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজ। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণে আসা যাত্রীদের স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে করোনাভাইরাস টেস্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এই কর্মপন্থার অংশ হিসেবে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমানবন্দর থেকে আসা যাত্রীদের করোনা টেস্ট করবে বিমানসেবা প্রতিষ্ঠানটি। ভ্রমণে আসা যাত্রীদের টেস্টের পর কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর দরকার নেই, সরকারকে তা বোঝাতেই এই পরিকল্পনা।
করোনা মহামারির মধ্যে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানসংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইন্সও এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বর্তমান নিয়মানুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারীদের সেলফ আইসোলেশনে যেতে হয়। বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশটির বিমানসেবার ওপর।
করোনা টেস্টের মাধ্যমে যাত্রীদের সেলফ-আইসোলেশন এড়ানো যায় কি-না তা নিয়ে ভাবছে সরকারও।
স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, আগতদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের সমালোচনা করে আসছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান আইএজি। তারা বলছে, এর ফলে মানুষজন বিমানে উড়ায় বিমুখ হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে এয়ারলাইন্সের।
ব্রিটিশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাষ্ট্র সরকারকেও বোঝাতে চেষ্টা করছে, মার্চ থেকে বন্ধ তাদের সীমান্তগুলো যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য যেন খুলে দেয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে এয়ারলাইন্সটি আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা শুরু করবে ২৫ নভেম্বর। এ জন্য যাত্রীদের কোনো ফি গুণতে হবে না।
প্রাথমিকভাবে তিনটি ফ্লাইটের যাত্রীদের টেস্ট করা হবে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইটটি আসবে ডালাস ফোর্ট অর্থ থেকে হিথ্রোতে, আমেরিকান এয়ালাইন্সে করে।
দ্বিতীয় ফ্লাইটটি আসবে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে হিথ্রোতে, ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সে করে; তৃতীয় ফ্লাইটটিও একই এয়ারলাইন্সের, এটি হিথ্রোতে আসবে জনএফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে।
ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করে নেয়ার পর ভ্রমণের সময় ও পর যাত্রীদের আবার করোনা টেস্ট করা হবে।
ভ্রমণের আগে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে তাদেরকে পরবর্তীতে কোনো ফ্লাইটে আসতে হবে অথবা ফ্লাইট বাতিল করতে হবে। পরবর্তীতে কোনো ফ্লাইট ধরলে কোনো ফি নেয়া হবে না।
যাত্রীদের করোনা টেস্টের এই ট্রায়াল চলবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এই সময়ে ৫০০ যাত্রীর করোনা টেস্ট করতে পারে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।