করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম আরও একটি টিকার খবরে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। চাঙা ভাব এসেছে শেয়ারবাজারেও।
প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান মডার্না সোমবার জানায়, তাদের উদ্ভাবিত টিকা করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
এর আগে গত সপ্তাহ দেশটির আরেক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ৯০ শতাংশ কার্যকর একটি টিকার ঘোষণা দেয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে করোনা রোধে সফল দুটি টিকার খবরে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
করোনার কারণে ক্রমাগত লোকসানের ফলে উৎপাদন কমানো নিয়ে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও তাদের সহযোগীদের সম্মেলনের আগে তেলের দামে এ চাঙাভাব এলো।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকার খবর আসার পর বেড়েছে অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের প্রধান ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) তেল বিক্রি হয় ৪৪ দশমিক ১৯ ডলারে।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অশোধিত তেলের ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) জ্বালানি তেল বিক্রি হয় ৪১ দশমিক ৪৫ ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রধান দুটি জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের প্রতিষ্ঠান এক্সনমবিল, শেভরন ও কনোকোফিলিপসের তেলের দামও ব্যারেল প্রতি ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেড়েছে।
জ্বালানি তেলের দামের পাশাপাশি উল্লম্ফন দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে। ডাউ জোন্সের সূচক ২৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ হাজার ৭৪৩ পয়েন্ট; শতকরা হারে বৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ এর সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬০৪; শতাংশে এ হার ৫৫ শতাংশ। নাসডাকের সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৮৬৬; শতাংশে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।
তবে মহামারির মধ্যে তুমুল ব্যবসা করা নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, জুমের সূচকে মন্দাভাব দেখা গেছে।
মুদ্রাবাজারে চাঙা ভাবে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তেল উৎপাদক ও বিনিয়োগকারীরা। করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেলে দ্রুতই বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন তারা।