বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুচরা কেনাকাটাও ব্যাংক হিসাবে

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৮

অনলাইন উদ্যোক্তাদের খুচরা কেনাকাটার লেনদেন সম্পন্ন করতে ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ নামে নতুন এক ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এখন থেকে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজস্ব পণ্য বিক্রি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত সেবার লেনদেন করা যাবে ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে।

শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা, প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত পণ্য বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারীরাও এ ধরনের হিসাবের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবেন।

এ ধরনের উদ্যোক্তাদের খুচরা কেনাকাটার লেনদেন সম্পন্ন করতে ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ নামে নতুন এক ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  

এ ধরনের হিসাবের মাধ্যমে খুচরা লেনদেন করা গেলে নগদ অর্থের ব্যবহার অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

নির্দেশনা অনুযায়ী, উদ্যোক্তারা ব্যাংক বা এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্ট খোলা চলতি হিসাবের মাধ্যমেও লেনদেন করতে পারবেন। যাদের হিসাব নেই তাদের ক্ষেত্রে চলতি হিসাব খুলে এ ধরনের রিটেইল ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো লেনদেন সীমা থাকবে না।

তবে ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি (গ্রাহক তথ্য) দিয়ে খোলা হিসাবে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পেশাজীবী সমিতির দেওয়া প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে ব্যাংক বা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের নিজস্ব কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে এ হিসাব খুলতে হবে।

মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় এ ধরনের হিসাব খোলার ক্ষেত্রেও একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের মাধ্যমে এ হিসাব খোলা যাবে না। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে হিসাব খুলতে হবে।

এ ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পেমেন্ট নিতে পারবেন। নিজের ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। তবে এই হিসাবে নগদ টাকা জমা, অন্য কারো হিসাবে টাকা পাঠানো, ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা আনা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে বেচাকেনা উৎসাহিত করার জন্য। এ কারণে প্রচলিত হিসাবের মতো সব ধরনের লেনদেন এখানে রাখা হয়নি।’

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন এ ধরনের হিসাবে ৩০ হাজার টাকা বিক্রয়মূল সংগ্রহ করতে পারবে। মাসে এই সীমা ৫ লাখ টাকা। মাসে পাইকারের পাওনা পরিশোধ করা যাবে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা।

এছাড়া মোবাইল ওয়ালেট সেবার আওতায়ও এ ধরনের হিসাব খোলা যাবে। সেখানেও মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন সীমা ১০ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর