আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ মীমাংসায় প্রচলিত আদালতের পরিবর্তে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) ব্যবস্থায় আগ্রহী ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, কম সময়ে ও সহজে এডিআরে প্রতিকার পাওয়া যায়। এছাড়া অর্থ সাশ্রয় হয়। তাই বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে এডিআরের মাধ্যমে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি জরুরি বলে মত দেন তারা।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণপত্র (এলসি) বিষয়ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ মীমাংসা বিষয়ক এক ওয়েবিনারে এমন অভিমত উঠে এসেছে। শীর্ষ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা ছাড়াও এতে ব্যাংকার ও আইনজীবীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে। রোববার ডিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জনানো হয়।
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, এডিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে ডিসিসিআই ও বিয়াক একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
বিয়াকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী বলেন, সমঝোতা ও সালিশির মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করা হয়। এতে অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময় কম লাগে। যে কারণে এডিআর জনপ্রিয় হচ্ছে। ডিসিসিআইয়ের সাথে এ বিষয়ে একযোগে কাজ করলে আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসায় ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইসিসির কার্যক্রমের ভূমিকা তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) দুবাইয়ের পরিচালক ভিনসেন্ট ব্রায়ান।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের লিগ্যাল অ্যাফেয়ারস বিভাগের প্রধান ব্যারিস্টার শাফায়াত উল্লাহর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান-উজ জামান, ডিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার খালেদ আজিজ, ডিসিসিআইয়ের এসডিজি-২০২০ বিষয়ক বিশেষ কমিটির আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী, ডিসিসিআই সদস্য ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম এবং বিয়াক কাউন্সেল রুবাইয়া এহসান কারিশমা, বিয়াক পরিচালক এম এ আকমল হোসেন আজাদ প্রমুখ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।