বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার সীমিত পরিসরে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:৩৯

শুধু কর অঞ্চল-৬ এ এবার চালু হচ্ছে এ সেবা। আগামী বছর সবাই অনলাইনে জমা দিতে পারবেন।

করোনা মহামারির মধ্যে সীমিত পরিসরে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরির মাধ্যমে রাজধানীর কর অঞ্চল ৬ -এ এটি চালু করা হয়েছে।

রোববার এর আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

এনবিআর কর্মকর্তরা বলেন, বর্তমানে কর অঞ্চল-৬ এর আওতায় ১ লাখ ৩৫ হাজার করদাতা আছেন। নতুন সফটওয়্যার যুক্ত করায় ওই অঞ্চলের করদাতারা এখন থেকে প্রচিলত প্রথার পাশাপাশি অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।

এ জন্য একটি ওয়েব সাইট চালু করেছে কর অঞ্চল -৬ কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট করদাতারা ওয়েব পেজটি খুলে নির্ধারিত ফরম পূরন করে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছে এনবিআর।

বর্তমানে এনবিআরের অধীনে সারাদেশে ৩০টি কর অঞ্চল রয়েছে। ওই সব কর অঞ্চলের অধীনে মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৬ শতাধিক কর অফিস আছে। এসব অফিসকে অটোমেশনের আওতায় আনতে কাজ করছে এনবিআর।

ডিজিটাল এনবিআরের অংশ হিসেবে দেশে একটি আধুনিক কর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পাঁচ বছর আগে অনলাইনে রিটার্ন দেয়ার পদ্ধতি চালু করে এনবিআর। চালু হওয়ার এক বছর পর নানা ত্রুটি দেখা দেয়। তা ছাড়া করদাতারা এ ব্যবস্থায় তেমন আগ্রহী নন। যে কারণে অনলাইনের সুফল পান নি করদাতারা।  

রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তরা জানান, ভিয়েতনামের ইনফরমেশন সিস্টেম করপোরেশন নামের (এফপিটি) একটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার সফটওয়্যারটি তৈরি করেছিল। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো কাজ না করে  টাকা তুলে নিয়ে গেছে। এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ও শেষ হয়েছে। এ অবস্থায়, সারাদেশে অনলাইনে রিটার্ন জমার কাজ বন্ধ রয়েছে।

তবে পুনরায় অনলাইন চালুর বিষয়ে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। তারই অংশ হিসেবে কর অঞ্চলে এটি চালু করেছে এনবিআর রোববার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণ এখনও মনে করে কর দেয়া ঝামেলার ব্যাপার। অনুকূল পরিবেশ ও উন্নত প্রযুক্তি থাকলে সবাই কর প্রদানে উৎসাহিত হবেন। আমরা সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, সব কর অঞ্চলকে অটোমেশনের আওতায় আনতে পারলে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তখন করদাতাদের মনে ভয়-ভীতি দূর হবে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়কর প্রদানে এগিয় আসবেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, করোনার কারণে অটোমেশনের কার্যক্রম পিছিয়ে গেছে। চেষ্টা চলছে দ্রুত সম্পন্ন করার। এখন যেভাবে অটোমেশনের কাজ এগুচ্ছে, তা চলতে থাকলে আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছর থেকে সবাই অনলাইেন আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মনে করেন, করবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে আদায় বর্তমানের চেয়ে অনেক বাড়বে। আদায় প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক সহজ করা হয়েছে এ কথা উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আয়কর ফরম এক পাতার করা হয়েছে, যা আগে ছিল তিন-চার পৃষ্ঠার।

এ বিভাগের আরো খবর