করোনাভাইরাস নতুন ধাক্কার প্রভাব কাটিয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের কয়েকটি সূচকে সামান্য উন্নতি হয়েছে। যদিও একদিন আগে পর্যন্ত সূচক কমে যাওয়ায় চিন্তিত ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। অবনতি ঘটেছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, হংকং ও চীনের সাংহাইয়ের সূচকে।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫০মিনিটে এসএন্ডপি ফাইভ হানড্রেডের সূচক শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটির অর্জন ১.৬ শতাংশ। ডাউ জোনসের সূচক আগের মতোই গড়পড়তা ছিল। ন্যাসডাক কম্পোজিটের সূচকও ছিল প্রায় একই রকম। শেয়ার বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করে ছিল সিসকো সিস্টেম, আমাজন ও মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো।
দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ব্যবসাবান্ধব নীতি চালু থাকবে ও খুব শিগগিরই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসবে এমন সম্ভাবনায় শেয়ার বাজারের অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানে নিক্কেই সূচক ০ দশমিক ৫ শতাংশ কমে শেষ হয়েছে ২৫,৩৮৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে। অস্ট্রেলিয়ার এসএন্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচক শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬,৪০৫ দশমিক ২০ পয়েন্টে। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক ঘুরে দাঁড়িয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ যোগ করে ২,৪৯৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে এসেছে। হংকং এর হ্যাং সেং শূন্য দশমিক ১ শতাংশের চেয়ে কমে এসেছে ২৬,১৫৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। সাংহাই কম্পোজিট শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩,৩১০ দশমিক ১০ পয়েন্টে এসেছে।
জাপানের শেয়ার বাজার বিশ্লেষক নোবুহিকো কুরামচি বলেন, টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জে আবাসন ব্যবসা, যানবাহন ও এনার্জি সংক্রান্ত শেয়ারের দাম কমছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। নিউ ইয়র্কে শুক্রবার থেকে রাত দশটার পরে রেস্তোরাঁ, বার ও জিম বন্ধ করতে বলা হয়েছে। ইউরোপেও করোনা ঠেকাতে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জাপানেও সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল সীমিত করার কথা ভাবছে সরকার। এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
তবে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার হলে আবারও বাজার ভালো অবস্থায় ফিরবে।