বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুয়া অডিট রিপোর্ট দাখিলের ‘দিন শেষ’

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২০ ২১:৪৬

তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সফটওয়্যার ডিভিএস চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভুয়া বা জাল অডিট প্রতিবেদন ধরা পড়বে।

কোম্পানিগুলোর ভুয়া অডিট প্রতিবেদন দাখিলের দিন শেষ হচ্ছে। এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে আর্থিক খাতে বড় ধরনের ডিজিটাল সংস্কার আনা হয়েছে। চালু করা হয়েছে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) পদ্ধতি।

এটি একটি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সফটওয়্যার, যা পর্যবেক্ষণের আওতায় আসামাত্র জাল অডিট প্রতিবেদন ধরা পড়বে।

অভিযোগ আছে, কোম্পানিগুলো একাধিক অডিট প্রতিবেদন তৈরি করে। একটি তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য। একটি আয়কর বিভাগের জন্য। আরেকটি তার নিজস্ব অডিট ফার্মের জন্য।

কোম্পানিগুলো এনবিআরের কাছে যে অডিট রিপোর্ট দেয়, তারও বেশিরভগই জাল বা ভুয়া বলে ধারণা করা হয়। কর ফাঁকি দেয়ার জন্য কোম্পানিগুলো বার্ষিক যে আয়, অডিটে তার চেয়ে কম দেখায়।

কোম্পানিরগুলোর ট্যাক্স কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে এ ফারাক অনুসন্ধানের জন্য সম্প্রতি এনবিআর গত আগস্টে একটা টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। তারা বিস্তারিত কাজ করে তিন ধরনের ফারাক খুঁজে পেয়েছে। সেখানে ভূয়া অডিট প্রতিবেদন দাখিল বড় বিষয় হিসাবে উঠে এসেছে।

এ প্রবণতা বন্ধ করতেই এ উদ্যোগ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহযোগিতায় ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ’ (আইসিএবি) হিসাবভিত্তিক প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই ডিভিএস পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আইসিএবির প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ বড়ুয়া, সাব্বির আহমেদ, মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন এবং সাবেক সভাপতি হুমায়ূন কবিরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চার্টাড অ্যাকাউন্টধারীসহ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দাবি করেন, ‘ডিভিএস সিস্টেম চালু হওয়ায় রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা বন্ধ হবে। এতে সরকার পাবে ন্যায্য হিস্যা। দূর হবে করপোরট প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাবে বিশৃঙ্খলা। একই সঙ্গে বদনাম ঘোচাবে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদেরও। এর মধ্য দিয়ে সরকার আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে প্রবাহমান ডিজিটাল সংস্কারের ধারাবাহিকতায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অটোমেশন চালু করা হচ্ছে। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) আর্থিক খাতের সেই অন্যতম ডিজিটাল সংস্কার হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোম্পানির জাল অডিট রিপোর্ট দাখিল বন্ধ করার লক্ষ্যে এটি হবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এই সিস্টেমটির মাধ্যমে জাল অডিট প্রতিবেদন সনাক্ত খুবই সহজ হবে, কর ফাঁকি রোধ সম্ভব হবে এবং জাল রিপোর্ট দাখিল বন্ধ হবে, যার সুফল আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ‘

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, দেশে ১ লাখ ৭৬ হাজার কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৭৮ হাজার কোম্পানি টিআইএন নিয়েছে। তার মানে অর্ধেকের বেশি কোম্পানি টিআইএন গ্রহণ করেনি। অথচ আয়কর আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত সব কোম্পানির টিআইএন বাধ্যতামূলক।

টিআইএনধারী কোম্পানির আবার মাত্র এক তৃতীয়াংশ আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। বাকিরা দেয় না।

এ বিভাগের আরো খবর