বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পের দর প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পটির জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের (সিএমইসি) সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করতে হবে। চুক্তির আওতায় চীনের এ কোম্পানি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করবে। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছরে মোট ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে সিএমইসিকে।
বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, ক্রয় কমিটির বৈঠকে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উপাদনসহ আটটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয়সহ ছয়টি দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া খুলনার দিঘলিয়ার ভৈরব নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।
একইদিন অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাদ্য অধিদফতর কর্তৃক ফরিদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠী, ভোলা, নওগাঁ ও সিলেট জেলায় ৬টি রাইস মিল স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ আকন জানান, বৈঠকে খুলনার ভৈরবে ব্রিজ নির্মাণ ও পূর্ত কাজ সম্পন্নের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে নির্বাচন করা হয়। তারা ৩০২ কোটি ৭৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা দর প্রস্তাব করেছে।
তিনি জানান, শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সবকটি প্রস্তাব সার কেনাকাটাকেন্দ্রিক। সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়া থেকে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার টন রাসায়নিক সার আমদানি করা হবে। আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এ সার কিনতে ৬৪৫ কোটি ৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয় হবে।