বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেঞ্চমার্ক বন্ডের ওপর নির্ভর করে বাজার দর প্রকাশ করবে ব্যাংক

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২১

বাজারে বিদ্যমান ২৬৯টি ট্রেজারি বন্ড থেকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রতিটি ভাগ থেকে পাঁচটি করে মোট ৩০টি বন্ড বেঞ্চমার্কের জন্য নির্বাচন করা হয়।

সরকারি সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে থেকে নির্বাচিত ৩০টি বন্ডকে মাপকাঠি (বেঞ্চমার্ক) ধরে ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য আলাদা করে প্রকাশ করতে প্রাইমারি ডিলার ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফলে সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ড বিক্রি করে তাৎক্ষণিকভাবে কী পরিমাণ টাকা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হতে পারবেন গ্রাহকেরা।

এতে করপোরেট বা বেসরকারি খাতের বন্ডের বেচাকেনাতেও যথেষ্ট উন্নতি হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, বর্তমানে আমানতের সুদের হার তলানিতে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগসীমার অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগের জন্য এখন অনেকেই বন্ডে ঝুঁকছেন। কিন্তু বন্ডের বাজারদর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় বন্ডে প্রকৃত বিনিয়োগ আনা সম্ভব হচ্ছে না।

মঙ্গলবার বিদ্যমান ট্রেজারি বন্ডগুলোকে শূন্য থেকে দুই বছর, দুই বছরের উর্দ্ধে থেকে পাঁচ বছর, পাঁচ বছরের উর্দ্ধে থেকে আট বছর, আট বছরের উর্দ্ধে থেকে দশ বছর, দশ বছরের উর্দ্ধে থেকে ১৫ বছর এবং ১৫ বছরের উর্দ্ধে থেকে ২০ বছর – এই ছয়টি ভাগে ভাগ করে একটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাজারে বিদ্যমান ২৬৯টি ট্রেজারি বন্ড থেকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রতিটি ভাগ থেকে পাঁচটি করে মোট ৩০টি বন্ড বেঞ্চমার্কের জন্য নির্বাচন করা হয়।

নির্বাচিত বেঞ্চমার্ক সিকিউরিটিজগুলোর প্রতিটি ভাগ থেকে কমপক্ষে একটি ট্রেজারি বন্ডের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য প্রত্যেক কর্মদিবসে প্রাইমারি ডিলার ব্যাংকগুলোকে প্রকাশ করতে হবে।

বেঞ্চমার্কিং নির্বাচনের ক্ষেত্রে কুপন হার, ইস্যুর তারিখ, বিদ্যমান বন্ডগুলোর অবশিষ্ট মেয়াদ, ধারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, বন্ডগুলোর হোল্ডিং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাতে কেন্দ্রীভূত কিনা, পূর্ববর্তী ১৫ মাসে সেকেন্ডারি লেনদেনের সংখ্যা ও ভলিউম প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আরো বলছেন, বন্ডের মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে এর মুনাফা হার সাত শতাংশ পর্যন্ত আছে। তবে সেকেন্ডারি মার্কেটে এই হার কতোটুকু কমছে বা বাড়ছে, তা জানতে বন্ড কেনা ও বেচার জন্য আলাদা আলাদা দর প্রকাশ করতে বলা হয়। এতে বন্ডের ক্রেতা বা গ্রাহক প্রতিমূহূর্তে বন্ডের বাজার দর জানতে পারবেন।

প্রাইমারি ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বাংক। প্রাইমারি ডিলার ব্যাংক ২২টি। এরাই মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত নিলামে অংশ নিয়ে ট্রেজারি বিল ও বন্ড কিনে থাকে। ওই বিল বা বন্ড চাইলে ব্যাংকগুলো অন্য ব্যক্তি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারে। এ ধরনের লেনদেন সেকেন্ডারি মার্কেট লেনদেন হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ঝুঁকিমুক্ত দর নির্ধারণের এমন কৌশল সব দেশেই থাকে। আমাদের এখানেও এখন থেকে বন্ডের বাজার দর সহজে জানার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হলো। এতে সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ডের কেনাবেচা বাড়বে।

 

 

 

এ বিভাগের আরো খবর