দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে টানা ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকেই ঝিমিয়ে পড়েছে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর। এখন করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও স্থলবন্দরটিতে পড়েনি তার প্রভাব।
দিনের বেশির ভাগ সময়ই বন্দরজুড়ে থাকে পিনপতন নীরবতা। সড়কের পাশে ট্রাকের সারির অলস ভঙ্গি দেখে বোঝার উপায় নেই ওপারে যাওয়ার কোনো তাড়া আছে। পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যেও নেই কর্মচাঞ্চল্য।
কুমিল্লায় ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম নয়, তবুও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানির তেমন কোনো আগ্রহ নেই তাদের। দেশের বড় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে বন্দরটি চাঙা হবে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারত সরকারের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
বিবির বাজার দিয়ে মূলত ভারতে সিমেন্ট, বালু ও কয়লা রফতানি করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক ১২ শ টন পণ্য এ বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় যেত। গত এপ্রিল থেকে যা গড়ে পাঁচ শ টনে নেমে এসেছে।
ত্রিপুরা থেকে মাসে ৩৬ হাজার টন পণ্য বাংলাদেশে আসত; এখন গড়ে মাত্র ১৫ হাজার টন পণ্য আসে।
আমদানি-রফতানি কমে আসায় শুল্ক আদায়ও ৫০ লাখ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৩০ লাখে।
বিবির বাজার স্থলবন্দরে বাংলাদেশের শেষ প্রান্ত। ছবি: নিউজবাংলা
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিমাসে এই বন্দর দিয়ে দুই দেশের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ চিকিৎসা, ভ্রমণ ও অন্যান্য কাজে আসা-যাওয়া করত। এপ্রিল থেকে তা বন্ধ রয়েছে।
কুমিল্লার বিবির বাজার স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আহমেদ ছালাউদ্দিন বলেন, বন্দরের সঙ্গে বড় ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। কুমিল্লাবাসীকেও আন্তরিক হতে হবে।
চেম্বার অব কমার্স কুমিল্লার সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান জানান, কুমিল্লার এ স্থলবন্দরে যাতায়াত সুবিধা ভালো। সিন্ডিকেটের হস্তক্ষেপের কারণে এত দিন ব্যবসায়ীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তবে সম্প্রতি সিঅ্যান্ডএফ ও বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান তিনি।
২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয় বিবির বাজার স্থলবন্দরের। ২ দশমিক ৮৩ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত বন্দরটি চলছে মাত্র পাঁচ জন কর্মকর্তা দিয়ে।