দেশের উৎপাদন ও সেবা খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই এখনো করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। মাত্র ৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ পরিচালনায় অংশ নেয় দি এশিয়া ফাউন্ডেশনও।
শনিবার অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান করোনার ক্ষতি একেবারেই কাটাতে পারেনি। তবে কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে মোটামুটি কাটাতে পেরেছে ৪১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান, সহজ লিমিটেডর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ প্রমুখ।
১২ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে কার্যরত পোশাক খাতের ৮৩টি, বস্ত্র খাতের ৪৫টি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতের ৪০টি, ওষুধ খাতের ২৪টি, চামড়া খাতের ২০ এবং সেবা খাতের মধ্যে ৩৫টি পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান, আবাসন খাতের ৪৩টি, পরিবহন খাতের ৪০টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫০২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ করে সানেম।
প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপক বা নির্বাহীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে এ জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। এটি করোনার প্রভাববিষয়ক সানেমের দ্বিতীয় জরিপ।
এর আগে গত জুলাইয়ে প্রথম পর্বের জরিপটি করে সানেম।
এই দুই জরিপের মধ্যে তুলনা করে সানেম দেখিয়েছে, দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সূচকে উন্নতি হয়েছে। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জরিপে অংশ নেয়া ৭২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে কোনো ঋণ পায়নি। এ ছাড়া ব্যবসার খরচ বা পরিবেশের দিক থেকেও বড় ধরনের উন্নয়ন এখনো ঘটেনি।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে আমরা দেখেছি, বড় বা মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে। সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলো।’
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের (এসএমই) শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রণোদনার ঋণ খুব একটা পাচ্ছে না। এখানে ব্যাংকগুলোর একটু গড়িমসি আছে।