বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রণোদনায় নতুন খাত অন্তর্ভূক্তির দাবি

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২০ ২২:১৫

বক্তারা একটি সাধারণ নীতিমালার আওতায় প্রান্তিক পর্যায়ের সব খাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। হাওরের মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তারা প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সুবিধা চান।

প্রণোদনার ঋণ বিতরণে যে নিয়ম রয়েছে, তার সীমাবদ্ধতার কারণে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সব খাতে পৌঁছাতে পারছে না। যে খাতে পাওয়ার কথা, তাদের সবাই তা পাচ্ছে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হচ্ছে এই ঋণ থেকে।

বৃহস্পতিবার ‘প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কর্মসংস্থান ইস্যু: প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এ অভিমত দেন। এ সময় তারা একটি সাধারণ নীতিমালার আওতায় প্রান্তিক পর্যায়ের সব খাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। হাওরের মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তারা প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সুবিধা চান।

নিম্নআয়ের পেশাজীবি, কৃষক এবং কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের পক্ষে এসব দাবি জানান স্থানীয় চেম্বার নেতা, এনজিও ব্যক্তিত্ব এবং মানবাধিকার কর্মীরা।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ ওয়েবিনারে ২০ জনেরও বেশি বক্তা নিজ এলাকার পক্ষে এ সম্পর্কিত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সংস্থাটির আরেক সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ঋণ বিতরণে নানান অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন বক্তারা। তারা বলেন, প্রণোদনার অর্থ লুটপাট হচ্ছে। এর বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণ দিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। যেসব ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে, তা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।

ঋণ দেয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া রয়েছে, সেখানে আদিবাসী, চা শ্রমিক ও মৌসুমী বেকারদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। প্রতিবন্ধীরাও সেখানে নেই। এসব কারণে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠি পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে না বলেও তারা দাবি করেন।

উল্লেখ্য, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া কৃষিখাতের জন্য আরও ৫ হাজার কোটি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে। যা এখন সারাদেমশ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন।

ওয়েবিনারে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, শ্রম খাত অনেক বড়। করোনায় এ খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে কতজন লোক আছে, এর উপখাত কী আছে, মৌসুমী বেকারত্ব কী পরিমাণ রয়েছে সবার আগে তা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এর পর ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষুদ্র ঋণ দিতে হবে। ঋণ দেয়ার প্রক্রিয়াও সহজ করতে হবে।

মো. আবু ইউসুফ বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে অন্ধকার অবস্থা চলছে। কারা, কোথায় কীভাবে পাচ্ছে তা জানি না। সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে পাবলিক ডকুমেন্ট পাচ্ছি না। এটা জনগণের সম্পদ। এ বিষয়ে স্বচ্ছতা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, প্রণোদনা দিলেই হবে না। পরিশোধে গ্রেস পিরিয়ড সুবিধাও দিতে হবে। আজকে দিয়ে কালকে পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা দিলে ওই ঋণের সুফল আসবে না।

মহেশখালীর সুব্রত দত্ত বলেন, সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। পানচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন খারাপ অবস্থায় আছে। তারা কারও কাছে হাত পাততে পারেন না। করোনায় এদের অনেকের চাকরি চলে গেছে। এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রণোদনার অর্থ দিয়ে এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

নীলফামারীর মিজানুর রহমান লিটু বলেন, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষ। চরাঞ্চলের কৃষকরা কৃষি ঋণ সঠিকভাবে পাচ্ছে না।

আরও বক্তব্য দেন রাজশাহীর মেরিনা হাসনা ও গাইবান্ধার কেএম রেজাউল হক।

 

 

 

এ বিভাগের আরো খবর