অপার সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়াগের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বুধবার ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানায় ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, বাংলাদেশের পর্যটন, টেক্সটাইল, সমুদ্র অর্থনীতি, কন্সট্রাকশন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ নানা খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এসব খাতে ভিয়েতনামের উদ্যোক্তারা একক ও যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ বাড়াতে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তির প্রস্তাব করে ঢাকা চেম্বার।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের মধ্য সরাসরি বিমান যোগাযোগ নেই। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে হলে বিমান যোগাযোগ নিয়মিত করতে হবে।
বাংলাদেশ আশিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেলে ভিয়েতনামসহ আশিয়ান অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
সাক্ষাতে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে এখনও ভিয়েতনাম এগিয়ে। দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্যবসায়ীর যোগাযোগ বাড়ানো, বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানো, বাণিজ্য মেলা আয়োজনসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এজন্য উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়াতে সম্ভাবনাময় পণ্যসমূহের বহুমুখীকরণ ও রফতানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাতের সময় ডিসিসিআই সহসভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন ও সচিব জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।